নিজস্ব প্রতিবেদক।। আসন্ন আশুলিয়া প্রেসক্লাবের ৩রা জুন অষ্টম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত চেয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আশুলিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি- সম্পাদক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক-কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি শুনানি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আগামী ১ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নির্বাচন স্থগিত এর আবেদন জানিয়ে করা মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ-বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন।
দৈনিক আলোকিত কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং আশুলিয়া প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটিসহ তিনবারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি মো. ওমর ফারুক (সদস্য নং ১৭) সহ তার সমর্থিত ৫ জন ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্যরা হলেন,আশুলিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুর রহমান লিটন (সদস্য নং-১৯) , দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির মন্ডল (সদস্য নং-৩০), কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু (সদস্য নং-২৪), ও আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ সোহেল রানা (সদস্য নং-৫০)।
উক্ত বিষয়ে দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো: জাহাঙ্গীর আলম রাজু বলেন,আমি ২০১০ সালে ক্লাবের সদস্য হই তার পর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করি, উক্ত নির্বাচনে আমি সর্বোচ্চ ভোটে কার্য-নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয় পর্যায়ে ক্রমে দ্বিতীয়-বার যুগ্ম-সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হই,তৃতীয়-বারও কার্য-নির্বাহী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হই পর পর তিনবার নির্বাচিত হইয়া সততার সঙ্গে সংগঠনটি পরিচালনা করায় আমার সমর্থক আরো বেড়েছে তাই ৮ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৩/২০২৪ইং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ঘোষনা দেওয়ার তারপরই আমি এবং আমার সমর্থক দের প্রতি ষড়যন্ত্র করে, প্রেসক্লাবের সিনিয়রদের সাথে আলচনায় সমাধান না হওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হই।
মামলায় তারা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে তারা সাংবাদিকতা করছেন এবং বিগত দিনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের মোট ভোটার সংখ্যা ৫১ জন হলেও অষ্টম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মামলার বাদী ওমর ফারুক সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ায় তাকে সহ তার সমর্থিত আরও ৫ জনকে বাদ দিয়ে চলতি বছরের ১৯ মে ৪৬ সদস্যের নাম উল্লেখ করে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই তারিখে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের ২০২৩-২০২৪ সালের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ৩ সদস্যের গঠিত নির্বাচন কমিশন।
মামলায় তারা আরো উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সভাপতি-সম্পাদক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাদের পছন্দের লোকদেরকে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের অষ্টম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে জয়ী করার উদ্দেশ্যে এবং ওমর ফারুক যাতে উক্ত নির্বাচনে সভাপতি পদে অংশগ্রহণ করতে না পারে এবং তার সমর্থিত সদস্যরা যাতে তাকে ভোট দিতে না পারে এবং প্রচার প্রচারণা চালাইতে না পারে সেই অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়, বেআইনি ও অবৈধভাবে ৫ জনকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সদস্য পদ অন্তর্ভুক্ত করার আগে নির্বাচন হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত হবেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলাটি ৪৫২/২৩ ছাড়াও একই অভিযোগ ও নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,আগামী ৩ রা জুন আশুলিয়া প্রেসক্লাবের অষ্টম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে ২০ মে হতে ২২ মে বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/শিরিন আলম