আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন খেকেই প্রথম সেশনে ছড়ি ঘুরিয়েছে বোলাররা। এই সেশনে প্রথম চারদিনের চেনা চিত্রের সাথে বড়ই অমিল ছিল শেষ দিনে। এই দিনের প্রথম সেশনে উইকেট থেকে যে ফায়দা আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ, তা পাননি তাইজুল-মিরাজ।
চতুর্থ ইনিংসে ২০২ রানের টার্গেটের বেশ খনিকটা পথ চতুর্থ দিনে এগিয়ে রেখেছিলেন পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। ওই দিন ১০৯/০ স্কোরে সহজ জয়ের ভিত্তি গড়ে দেয়া ওপেনিং জুটির কল্যানে পঞ্চম দিনে পাকিস্তানকে অবশিষ্ট ৯৩ রানের জন্য খেলতে হয়েছে ২৫.৩ ওভার। ৮ উইকেটে জিতেই লাঞ্চ সেরেছে বাবর আজমের দল।
দিনের প্রথম তিন ওভার সতর্ক ব্যাটিং করলেও চতুর্থ ওভারে তাইজুলকে পর পর তিনটি চার মেরে আবিদ আলী দিয়েছিলেন সহজ জয়ের পূর্বাভাস। দিনের প্রথম ঘণ্টায় ওয়ানডে মেজাজে ৫৯ রান যোগ করে হারিয়ে আসাদুল্লাহ শফিককে হারিয়েছে শুধু। মিরাজকে সুইপ করতে যেয়ে ৭৩ রানের মাথায় এলবিডাব্লু্উতে থেমে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন।
উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন আর এক ওপেনার আবিদ আলী। তবে ১০ম পাকিস্তানি হিসেবে এ স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার। হানিফ মোহাম্মদ, জাভেদ মিয়াদাদ, ওয়াজহাতউল্লাহ ওয়াস্তি, ইয়াসির হামিদ, ইনজামাম, ইউসুফ, ইউনুস, আজহার আলীদের কাতারে নিজের নাম লেখাতে পারেননি। ড্রিংকসের পর জয় থেকে পাকিস্তান যখন মাত্র ৩১ রান দূরে, তখন তাইজুলকে হাফ হার্টেড খেলতে যেয়ে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছেন (৯১)। লাঞ্চ ব্রেকের যখন ২৪ মিনিট বাকি, তখন মিরাজকে পর পর দুটি সুইপ শটে বড় জয় নিশ্চিত করেছেন আজহার আলী।
প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড, লিটনের অভিষেক সেঞ্চুরি, তাইজুলের দ্বিতীয় সেরা বোলিং (৭ উইকেট) কোনোটাই কাজে আসেনি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রও হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম