নিজস্ব প্রতিবেদক।। যশোরের কেশবপুরে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মলম্বীদের উৎসব দূর্গা পূজা। করোনায় আয়োজনে সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমেজের কমতি নেই হিন্দু সম্প্রদায়ের।
কেশবপুর উপজেলার ১১নং হাসানপুর ইউনিয়নের কাকিলাখালী মন্দির, বুড়িহাটি মন্দির, বগা মন্দির, টিটা মোমিনপুর, কাবিলপুর মন্দিরে পালিত হচ্ছে এবার দূর্গা পূজা।
এবারের উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গাপূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া মন্দিরের আশেপাশে মেলাও নিষিদ্ধ করা হয়।
নবমীতে সকাল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমীর বিহিত পূজা, সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দশমীর বিহিত পূজা ও দর্পণ নিরঞ্জন। এই দিন অগ্নিকে প্রতীক করে দেবীকে আহুতি দেওয়া হয়। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথা স্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এদিন দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের দিন। এ কারণে নবমীর রাত হয় উৎসবের রাত। এছাড়া নবমীর সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে মা দুর্গাকে দেখার জন্য ভিড় হয় দর্শনার্থীদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাবিলপুর পূজা মণ্ডপের সভাপতি প্রবীর দাশ,সম্পাদক নব কুমার দাশ। প্রণব কুমার দাশ,নবকৃষ্ণ দাশ,মনতোষ দাশ,পলাশ দাশ,মৃণাল দাশসহ প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, সারাদেশে এবার ৩০ হাজার ২১৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজার জন্য রাজধানীতে প্রস্তুত হয় ২৩২টি মণ্ডপ। বিগত বছর সারাদেশে মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি, যা তার আগের বছরের চাইতে ৪৮৩টি বেশি। আর এবার মণ্ডপ কমেছে গত বছরের চাইতে ১ হাজার ১৮৫টি।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/জাহাঙ্গীর আলম (রাজু)