ঢাকা।। প্রত্যেকেই চাই যেন রাতে আমাদের ঘুমটা ভালো হয়। এতে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কিন্তু অনেকেরই ঘুমের নানা সমস্যা থাকে। তবে চাইলেই এই সমস্যা দূর করা যায়। আর এটা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়।
ক্লান্ত হয়ে লম্বা একটা ঘুম দেওয়ার জন্য শুয়ে পড়লেন বিছানায়। কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না। বহু লোকেরই এ সমস্যা হয়েছে কোনো না কোনো সময়। এক্ষেত্রে কীভাবে নিজের মনকে চাপমুক্ত করে চমৎকার ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়?
চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ মানুষের অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা উচিত। কিন্তু বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই তা হয় না। অনেকেই আবার বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেন, ঘুম আসতে অনেক সময় লেগে যায়। কারও আবার ঘুম পাতলা, বারবার ভেঙে যায়। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে সহজ কিছু পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, যা মনে চললে ঘুমের সমস্যা দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-
পিএমআর মেথড
এই পদ্ধতির পুরো নাম হলো প্রোগ্রেসিভ মাসল রিল্যাক্সেশন। এ জন্য শরীরের কোনো একটি পেশিকে প্রথমে টান টান করা হয়। এরপর সেটাকে হুট করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। চোখ দিয়েই করতে পারেন। চোখ বড় বড় করে কোনো কিছু দেখুন। দেখবেন কপাল ও ভুরুতেও চাপ পড়ছে। ৫ সেকেন্ড পর চোখ হুট করে বন্ধ করে দিন। এবার মুখ চওড়া করে হাসার ভঙ্গিতে খুলুন। ৫ সেকেন্ড পর মুখ বন্ধ করে দিন। এতেও শরীর ও মন প্রশান্তি পাবে। ঘুম আসবে।
মিলিটারি মেথড
এই পদ্ধতি বের করেছেন মার্কিন নেভির প্রি-ফ্লাইট স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। এ কারণেই এমন নাম। উড়োজাহাজ বা জেটবিমান চালানোর আগে পাইলটদের ভালো ঘুম প্রয়োজন। এ জন্য তাদের ঘুমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়! এ জন্য শোয়ার পর প্রথমে মনোযোগ দিতে হবে নিজের মুখের মাংসপেশির ওপর। কোনোটা টানটান বা চেপে আছে কি না, সেটা অনুভব করুন। তারপর ধীরেসুস্থে পেশী শিথিল করুন। মুখ, চোয়াল ও গলার পেশিও একেবার শিথিল করে দিন। গোটা শরীরটাই যেন বিছানায় আলগা পড়ে থাকে। যেন মনে হয় আপনার শরীরের ওপর আপনার আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এবার কল্পনায় কোনো একটি মোনোরম দৃশ্যের কথা ভাবুন। দেখা গেছে, যারা এটা নিয়মিত চর্চা করেন, তারা ১২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতে পারেন।
৪-৭-৮ পদ্ধতি
শ্বাসকষ্টের সমস্যা না থাকলে এটা মেনে চলতে পারেন। এতে ঘুম আসার পাশাপাশি ফুসফুসও ভালো থাকবে দীর্ঘদিন। এটা একটা ব্রিদিং এক্সারসাইজ। আরাম করে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ভেতরের সমস্ত বাতাস বের করে দিন ধীরে ধীরে। এরপর মুখ দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন। শ্বাস ধরে রাখুন ৭ সেকেন্ড। শেষে মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। প্রথম দিকে মনে মনে ১, ২, ৩… গুনে গুনে করুন। তারপর অভ্যাস হয়ে যাবে। এটি মনকে শান্ত করে। শরীর রিল্যাক্সড হয়। শরীর-মনের আরাম মেলায় ঘুমও আসে জলদি।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/মিজান