pinuppin uppin up casinopinup azpinappinup casinopin-uppin up onlinepin up azpinuppin uppin up casinopinappin up azpin up azerbaycanpin-uppinuppin uppin up casinopinup azpinup azerbaycanpin up azerbaycanpin up azerbaijanpin up azpin-uppin up casinopin up casino gamepinup loginpin up casino indiapinup casinopin up loginpinup indiapin up indiapin up bettingpinup loginpin up casino indiapinup indiapin uppinuppin-uppin up 777pin up indiapin up betpin uppin up casinopinup loginpin-up casinopin-uppinup indiapin up kzpinup kzpin-up kzpinuppin up casinopin uppin up kzпинапpin-uppin uppinuppin-upmostbetmosbetmosbet casinomostbet azmosbetmostbetmostbet casinomostbet azmostbet az casinomosbet casinomostbet casinomostbetmostbet aviatormostbet casinomostbet kzmostbetmosbetmosbet aviatormostbet casinomostbetmastbetmostbet onlinemosbetmosbetmostbetmosbet casinomostbet kzmostbetmosbetmosbet casino kzmostbet kzmostbetmostbet casinomostbet onlineмостбетmosbetmosbet casinomostbetmostbet kz1 win aviatoraviator 1 winaviator mostbetaviator1 win casino1win kz casino1 win bet1win kz1win casino1 winonewin casino1 winonewin app1 win game1 win aviator game1win1 win1win uz1win casino1 win online1 win1win casino1win aviator1 win1win casino1win1win aviator1 win1win casino1win online1 win az1win lucky jet1win1 win1 win az1win1win casino1win1 win1 win casino1win slot1win apostas1win slots1win apostalucky jetlucky jet casinolucky jetlucky jet crashlucky jet crashlucky jet casinomostbet lucky jetluckyjetlukyjetlucky jetlucky jet crashlucky jetlucky jet casino4rabet pakistan4rabet4era bet4rabet bd4rabet bangladesh4rabet4rabet game4r bet4rabet casino4rabet4r bet4rabet bd4rabet slots4a bet4era bet4x bet4rabet indiaparimatchmosbet casinomosbet kzmostbetmostbet kzmostbet aviatormosbet aviatormosbetmostbet aviatormostbetmosbetmostbetmosbetmosbet indiamostbetmosbetmostbet india1win cassino1 win casino1 win
শিরোনাম:
নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া “সম্পাদক-প্রকাশক ঐক্য পরিষদ”খুব শীঘ্রই গঠন ঢাকা-গাজীপুরবাসীর জন্য নতুন ৪ জোড়া ট্রেন চালু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আগের মতো উন্নত হবে: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, ব্যাহত জীবনযাত্রা আশুলিয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাভার মুক্ত দিবসে শহীদ টিটোর সমাধিতে শ্রদ্ধা  প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন দক্ষিণ কোরিয়ায় সংসদের সামনে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার জনতা খুব দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে, আশা মির্জা ফখরুলের খুব দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে, আশা মির্জা ফখরুলের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল, ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ
শীতের ত্বকের যত্নে যা করবেন এবং যা করবেন না

শীতের ত্বকের যত্নে যা করবেন এবং যা করবেন না

শীত এলেই প্রকৃতি বদলে যায়। বদলে যায় আবহাওয়া, পরিচিত দৃশ্যগুলো। আগের মতো থাকে না কিছুই। গাছের পাতা ঝরে পড়ে, নদীর পানি স্থির হয়ে যায়, সব জায়গায় কেমন যেন থমথমে এক ভাব। প্রকৃতির সেই প্রভাব পড়ে মানুষের ওপরও। ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ, খসখসে। ঠোঁট ফেটে যায়। পায়ের গোড়ালি থেকে চামড়া উঠতে থাকে। চুল ভরে ওঠে খুশকিতে। আরো নানা সমস্যা দেখা দেয় শীতে। প্রকৃতি স্বাভাবিকভাবেই শীতের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিতে পারে না- তাই বসন্তকাল পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয় নব যৌবন লাভের জন্য। কিন্তু মানুষ পারে সুরক্ষা নিতে- সে জন্য তাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যদি ঠিকঠাক মতো নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে শীতে তার সৌন্দর্য হানি হয় না, বিঘিœত হয় না ত্বকের নিরাপত্তা। শীতে ত্বকের কিভাবে যতœ নেবেন আপনি? কিভাবে বজায় রাখবেন স্বাভাবিক সৌন্দর্য? কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন যাবতীয় সমস্যা? কিভাবে কোমল, স্নিগ্ধ রাখবেন শরীর ও মন? এসবের উত্তর দেয়া হলো প্রশ্নাকারে সাজিয়ে। আশা করি, শীত যতই ঘন হয়ে আসুক, আপনার সৌন্দর্যে শীত কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারবে না।

খসখসে হাত
শীত এলে অনেকের হাতের ত্বক খুব অমসৃণ এবং খসখসে হয়ে যায়। ত্বককে সুন্দর করার উপায় কী?
চমৎকার ফল লাভের জন্য এখানে অল্প কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবস্থার উল্লেখ করা হলো-
-এক টেবিল চামচ দুধের সর বা মাখনে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও গ্লিসারিন মেশান, তারপর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দু’হাতে সেটা ঘষে ঘষে মাখুন।
-ত্বককে আকর্ষণীয় করার জন্য রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাত ও আঙুলগুলো বাদাম তেল দিয়ে মালিশ করুন।

-খসখসে হাতের জন্য এক চা চামচ চিনি ও লেবুর রস নিন। তারপর দুহাতের তালুতে নিয়ে ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। চিনির পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
-গ্লিসারিনের সাথে গোলাপ পানি মিশিয়ে কটন উল সোয়াব দিয়ে তা দু’হাতে ঘষুন। দেখবেন ত্বক কেমন চমৎকারভাবে পরিষ্কার হয়।
-যদি আপনার ত্বক গরম পানি, সোডা, কাপড়কাচা সাবান বা ডিটারজেন্টের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ভিনেগারের সাথে পানি মিশিয়ে হাত ধোবেন, এতে ভালো ফল পাবেন।
-যদি আপনার ত্বক খুব শুষ্ক হয় তাহলে ভ্যাসলিনের সাথে কার্বোলিক এসিড মিশিয়ে দু’হাতে ঘষুন।

খসখসে পা
কারো কারো মুখমণ্ডলের ত্বক কোমল। কিন্তু দু’পায়ের তলা খসখসে। মাঝে মধ্যে পায়ের তলা দুটো ফুলে যায়, অবসন্ন লাগে এবং চুলকায়। কিভাবে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব?

-গরম পানির মধ্যে সামান্য সোডা বাই কার্বোনেট মিশিয়ে খসখসে পায়ের তলা দুটো তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। খসখসে অংশগুলো ও গোড়ালি ঝামাপাথর দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পরিষ্কার করবেন। নাজুক অংশ যেমন আঙুলগুলো জোরে জোরে ঘষে পরিষ্কার করবেন একটা নাইলন ব্রাশ দিয়ে। তারপর একটা পরিষ্কার শুকনো তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা দুটো ভালো করে মুছবেন, এরপর পায়ের তলায় একটা ভালো ট্যালকম পাউডার ছিটিয়ে দেবেন। পায়ের তলা দুটোর প্রচুর ঘামার প্রবণতা থাকে, বিশেষ করে আপনি যদি জুতা ও মোজা পরেন। ওগুলো ত্বকের সাথে লেগে থাকে এবং ঘাম ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। শুষ্ক ত্বকে সর্বদা কোল্ড ক্রিম মাখতে হবে। আপনার আঙুলের ফাঁকগুলোতে কিছু ডিওডোরান্ট ছড়িয়ে দিন। মোজাগুলোকে পরিষ্কার রাখবেন এবং ওগুলো প্রতিবার পরার পরে ধুয়ে দেবেন।

পায়ের ফোলার জন্য কার্যকর চিকিৎসা হলো পা দুটো লেবুর রস অথবা কর্পূর মিশ্রিত স্পিরিট দিয়ে মালিশ করা। যদি চুলকানি থাকে তাহলে ঘনঘন পা পরিষ্কার করবেন, ভালো করে পা শুকোবেন এবং পাউডার ছিটিয়ে দেবেন। যদি সমস্যা থেকে যায় তাহলে গোড়ালি এবং আঙুলগুলোতে গ্লিসারিন মাখবেন এবং আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলবেন। গোসলের আগে গোড়ালিতে মধু ঘষবেন।
খুশকি সমস্যা

মাথায় খুশকি। মাথার ত্বক খুব চুলকায়। পরিত্রাণের উপায় কী?
– খুশকি মাথার ত্বকের অন্যতম প্রধান সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে পিটিরিয়াসিস। এটা স্রেফ ত্বক ঝরেপড়া। মাথার ত্বকের সর্বোচ্চ স্তর অবিরাম ঝরে যাচ্ছে। মূলত কোষগুলোর মৃত্যু হয়ে সেগুলো ঝরেপড়ে। এই ঝরেপড়া ত্বক বা আঁশকে বলে খুশকি। মনে রাখবেন, দীর্ঘদিন খুশকির চিকিৎসা না করা হলে কিংবা খুশকিকে অবহেলা করলে চুল উঠে যায়। খুশকির একটি সরাসরি কারণ হলো অতিরিক্ত আঁশ ঝরেপড়া। শৃঙ্কময় আঁশগুলো ঝরেপড়ার বদলে মাথার ত্বকে জমা হতে থাকে। খুশকির কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে দুর্বল রক্ত সঞ্চালন, পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং অসঙ্গত খাবার- যেগুলো মাথার ত্বকে নিষ্ক্রিয় অবস্থার সৃষ্টি করে। খুশকি দুই ধরনের- একটি শুকনো খুশকি, অন্যটি তেলতেলে খুশকি। শুকনো খুশকিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে পিটিরিয়াসিস ক্যাপিটিস সিমপ্লেক্স এবং তেলতেলে খুশকিকে বলে পিটিরিয়াসিস স্টিটয়েডস।

খুশকিকে প্রায় ক্ষেত্রেই সংক্রামক বলে বিশ্বাস করা হয়। কসমেটিক বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে খুশকির উভয় ধরনই ছোঁয়াচে এবং একাধিক ব্যক্তি দ্বারা ব্যবহৃত ব্রাশ, চিরুনি, তোয়ালে, সাবান ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের ফলে খুশকি ছড়াতে পারে। চুলের সংস্পর্শে আসা যে কোনো বস্তু পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে হবে।

মাথার ত্বক চুলকানো এবং অল্প সাদা আঁশ সাধারণভাবে মাথার ত্বকের সাথে লেগে থাকা কিংবা আলগা হয়ে চুলে ছড়িয়ে থাকা হলো শুকনো খুশকির বৈশিষ্ট্য। অপরদিকে, তেলতেলে বা তৈলাক্ত ধরনের খুশকি সেবামের সাথে মিশে ত্বকের সাথে গোলাকারভাবে আঠার মতো লেগে থাকে। চুলকালে মাথার ত্বকে আঁচড় কাটতে বাধ্য করে। আঁচড়ানোর ফলে যদি তৈলাক্ত আঁশ ছিঁড়ে যায় তাহলে রক্তপাত হতে পারে কিংবা ধীরে ধীরে সেবাম চুইয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যদি খুশকির হালকা চিহ্ন থাকে তাহলে দেরি না করে তার চিকিৎসা করতে হবে। খুশকি সম্পূর্ণ দূর হয় না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। আর এ জন্য বর্তমানে বাজারে চমৎকার সব পণ্য পাওয়া যায়। তবে কখনোই কারো কাছে শুনে উল্টাপাল্টা শ্যাম্পু মাথায় মাখবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি সপ্তাহে ১-২ বার পলিটার লিকুইড দিয়ে মাথা ধুতে পারেন। খুশকি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এটা মেখে যেতে হবে। খুশকি নিয়ন্ত্রণে আপনি কিছু ঘরোয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, যেমন-

> ২ টেবিল চামচ কসমেটিক ভিনেগারের সাথে ৬ টেবিল চামচ গরম পানি মেশান। তুলোর সাহায্যে ওটা মাথার ত্বকে আলতো করে ঘষতে থাকুন। চিরুনি দিয়ে চুল আচড়ান। শোবার সময় এটা মাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। বিছানার চাদরে যাতে দাগ না লাগে সে জন্য একটা স্কার্ফ দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখবেন। পরদিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। চুল খুব ভালোভাবে ধোবেন যেন চুলে শ্যাম্পু লেগে না থাকে। পরে ৩ টেবিল চামচ কসমেটিক ভিনেগার ও ১ কাপ গরম পানির মিশ্রণ দিয়ে চুল ধোবেন। সপ্তাহে দুবার এটা করবেন।

> খুশকি দূর করার আরেকটি পদ্ধতি হলো হট অয়েল থেরাপি। শোবার সময় মাথার ত্বকে গরম তেল ম্যাসাজ করবেন। পরদিন সকালে গোসল করার এক ঘণ্টা আগে কসমেটিক ভিনেগারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে কটন উল সহকারে মাথার ত্বকে আলতো করে ঘষবেন। এরপর এগ শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। শেষ ধোয়া হিসেবে এককাপ গরম পানিতে একটা লেবুর রস ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে একবার বা দু’বার এ চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন তিন মাসের জন্য।
হট স্টিম বাথ বা গরম বাষ্প স্নান চুল ও মাথার ত্বকের জন্য উপকারী। গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং একটা গরম ভেজা তোয়ালে দিয়ে মাথাটা পাগড়ির মতো করে পেঁচিয়ে রাখুন। এতে করে বাষ্প খুশকিকে তাড়াতে পারে।

> মাথায় তেল ও ঘাম জমতে দেয়া উচিত নয়। এতে খুশকির প্রকোপ বেড়ে যাবে। মাথায় তেল যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করবেন আর নিয়মিত মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কার রাখবেন। মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁট ফাটা
কারো কারো সব সময় ঠোঁট শুষ্ক থাকে। ঠোঁট ফেটে যায়। কী করণীয়?
– শীতের শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার প্রভাব শুধু শরীরের উপরই পড়ে না, ঠোঁটের উপরও পড়ে ভীষণভাবে। ফলে এ সময়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই ঠোঁট শুষ্ক থাকে এবং ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। অনেকের আবার শুধু শীতকালই নয়, সারাবছরে ঠোঁট শুষ্ক থাকে ও ঠোঁট ফাটে। এটা খুবই এক বিরক্তিকর সমস্যা।
ঠোঁটের শুষ্কতা ও ঠোঁট ফাটা মোকাবেলা করার জন্য ঠোঁট দুটোতে গ্লিসারিন মেখে হালকা ম্যাসাজ করতে হবে, এতে রক্তসঞ্চালন বাড়বে এবং মৃতকোষগুলো উঠে যেতে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত গ্লিসারিন ভেজা কটন উল দিয়ে মুছে ফেলবেন। এবার দুই ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার যেমন ভ্যাসলিন খুব গাঢ় করে মাখবেন এবং দুই ঠোঁটে আগাগোড়া খুব দ্রুত আলতো করে আঙুল বুলাবেন। ঠোঁটের কোনা থেকে মাঝ পর্যন্ত দ্রুত এটা করবেন। এতে ঠোঁট কোমল থাকবে এবং ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেবে না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, তাহলো ঠোঁট কখনোই শুকনো রাখা যাবে না। ঠোঁট আবারও শুকিয়ে যাওয়ার আগেই গ্লিসারিন কিংবা ভ্যাসলিন মাখতে হবে। আর ঠোঁটের চামড়া কখনোই টেনে তুলবেন না।

শীতের মধ্যে বাইরে বেরোলে কিংবা রোদে বাইরে গেলে অবশ্যই ফাটা ঠোঁটে লিপ ব্যারিয়ার ক্রিম মেখে বেরোতে হবে। সূর্যরশ্মির কারণে ঠোঁট ফুলে যায়, ব্যথা হয় কিংবা ঠোঁটে জ্বালা পোড়া অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ত্বক ফাটা

শীতকালে অনেকেরই শরীর ও মুখের ত্বক ফেটে যায়। দেখতে খুবই বিশ্রী লাগে। প্রতিকারের উপায় কী?
– শীতকালে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্তভাব কমে যায় এবং এর ফলে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে পড়ে, ত্বক ফেটে যায়। এ কারণে শীতকালে ত্বকের বিশেষ যতœ নেয়ার প্রয়োজন হয়।
ফাটা ত্বকের জন্য বেশ কিছু সহজ ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে-
> ত্বক ভালো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ত্বক শুকাবেন। ত্বক শুকিয়ে গেলে সেখানে ঘি কিংবা সর্ষের তেল মাখবেন।

> সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ত্বকে দুধের সর মাখা। এটা ত্বকে মালিশ করতে হবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়। ফাটা ঠোঁটেও আপনি রাতে এই ক্রিম মাখতে পারেন, এতে ঠোঁট নরম ও মসৃণ হবে।
> শীতের সময় ত্বকে সাবান যত কম মাখা যায় তত ভালো, কারণ এতে ত্বক আরো খসখসে হয়ে পড়ে। সাবানের পরিবর্তে ত্বকে ক্লিনজিং ক্রিম লাগিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। আর যদি একান্তই সাবান ব্যবহার করতে হয় তাহলে গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করবেন। মুখ ধোয়া কিংবা গোসলের পরপরই ত্বক মুছে ত্বকে ভেজা ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার মাখবেন। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আপনি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। যেটুকু গ্লিসারিন প্রয়োজন, তার সাথে দ্বিগুণ পরিমাণ পানি মিশিয়ে সারা শরীরে মাখবেন। যদি পানি না মিশিয়ে শুধু গ্লিসারিন মাখেন তাহলে গ্লিসারিনের আঠায় ময়লা জমে ত্বক আরো বেশি ফেটে যেতে পারে।

> রাতে নিয়মিত শরীরে ক্রিম লাগানোর অভ্যাস করবেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা রোধ হবে।
> শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য অলিভ অয়েল একটি চমৎকার দ্রব্য। শীতে নিয়মিত এটা ত্বকে মালিশ করুন।

> শীতে অনেকে গরম পানিতে গোসল করেন। কিন্তু খুব গরম পানিতে নিয়মিত গোসল করলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে পড়ে। গরম পানিতে গোসল করতে চাইলে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন এবং গোসলের পরে শরীর মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার মাখুন।

> ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম মাখতে হবে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে শীতকালে হাত-পায়ে যন্ত্রণাদায়ক স্ফীতি হয় ও ত্বক ফেটে যায়। সাধারণত শীতের শুরুতে এটা হয়। গরমকাল এলে আবার চলে যায়। হাত-পায়ে যখন যন্ত্রণাদায়ক স্ফীতি হয় তখন ত্বক নীলাভ লাল হয়ে যায়, চুলকায়, কখনো কখনো হাত-পায়ের আঙুলে ফোস্কা পড়ে। কারো কারো কদাচিৎ নাকে, কানে ও চিবুকে এটা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক খুবই চুলকায় ও জ্বালা পোড়া করে। প্রতি শীতকালে এটা হতে পারে। চিকিৎসা এবং প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঠিকমতো গ্লাভস বা দস্তানা ও মোজা পরে নিজেকে গরম রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে প্রান্তিক রক্তনালী প্রসারক ওষুধ যেমন- নিকোটিনিক এসিড এবং আইসোক্সুপ্রিন ব্যবহার করে উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখিকা : অধ্যাপিকা, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।

Please Share This Post in Your Social Media

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত: ২০১৮-২০২৩ © আমাদেরবাংলাদেশ.ডটকম