চরফ্যাশন(ভোলা)সংবাদদাতা।। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে জোর জবর দখল করে বাড়িঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর মাদ্রাজ মৌজার জিন্নাগড় ১নং ওয়ার্ডে আরএস-১১৪,এসএ-৪৪ ও দিয়ারা -২১৬১,৭৭,২৫৯২,১৭০১ ও ৭০ নং খতিয়ানে শামসুল আলম নসু রাজ গং এর ভোগদখলীয় ৫.৬ একর জমির ১ একর ৮৫ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ একই এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও তার পুত্র আমির হোসেন গংদের সঙ্গে দির্ঘদিন বিরোধ থাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে একাধীকবার হামলা মামলার ঘটনা ঘটে।
ওয়ারিশ ও রেকর্ড সূত্রে জমির মালিক দাবী করে শামসুল আলম নসু রাজ গং অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন ও আমির হোসেন গং দির্ঘদিন ধরে ওই জমি নিয়ে আমাদেরকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে উল্টো মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
এছাড়াও বিরোধীও ওই জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ আমির হোসেন গং এর পিতা আনোয়ার হোসেন রেকর্ড ভঙ্গে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৭/২০০৪ নং মামলা করলে পরবর্তীতে ২৯৯/২০১৫ নং মামলায় চরফ্যাশন যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত ১৮সালের ২৪ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন। পরে আনোয়ার হোসেন গং ৩০/২০১৮ নং মামলায় আপিল করলে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৭/২০০৪ নং মামলায় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ওই রায় খারিজ করে।
আমাদের রায় খারিজ করে দিলে আমরা হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল করি। পরবর্তীতে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২৭/১০/২০২০ সালের প্রদত্ত রায় পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ হাইকোর্ট ২০সালের নভেম্বরের ২৩ তারিখ ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করে।
শামসুল আলম নসু রাজ অভিযোগ করে আরও বলেন, বিজ্ঞ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমির হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে বিরোধীও ওই জমিতে প্রবেশ করে গভীর পুকুর খনন পূর্বক মাটি কেটে বাড়িঘর নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ করলে থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কার্যক্রম বন্ধে নিষেধ করলেও তা তাঁরা অমান্য করে বাড়িঘর নির্মান অব্যাহ রেখেছে।
এ অভিযোগে আমির হোসেন বলেন, আমার পিতার সঙ্গে বিরোধীও ওই জমিতে আমরা কোনো কার্যক্রম করিনি। তবে আমাদের অন্য জমিতে বাড়িঘর নির্মান চলছে। চরফ্যাশন থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমির হোসেন গংকে বাড়িঘর নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তবে তাঁরা নিষেধ অমান্য করেও কার্যক্রম চলমান রেখেছে।