ঢাকা।। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জেলেদের উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে উপকূলের হাজারো মানুষ।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খুলনায় দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশিপাশি, স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনসহ ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঝড়ের গতি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেদের গভীর সাগরে না গিয়ে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৫০৯টি সাইক্লোন শেল্টার।
বরগুনায় সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে শুরু হয়েছে মাইকিং।
পায়রা বন্দরে বিপদ সংকেত থাকলেও উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব নেই। তবে সাগর উত্তাল রয়েছে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো মানুষ। ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ও রাস্তা-ঘাট খারাপ হওয়ায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রামসহ উপকূলের ২০ জেলার ২১ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।