তানিয়া আক্তার বিশেষ প্রতিনিধি।। আশুলিয়া থানার ঘোড়াপীর মাজার এলাকায় আফরোজ লিনা (৪৯) নামে এক নারীকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এস আই মো: সাইফুল ইসলাম ও এএস আই জোবায়ের। এসময় তারা বলেন গতকাল একটা অভিযোগ পেয়েছি আজ আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই পূর্বক আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব বলে জানান।
অভিযুক্তরা হলেন: ১। মোঃ নেমতা (৫০) পিতা অজ্ঞাত,গ্রাম-নলাম,থানা আশুলিয়া,জেলা ঢাকা। ২। মোঃ মোল্লা (৫০) পিতা-অজ্ঞাত,গ্রাম-নলাম ঘোড়াপীরের মাজার চায়ের দোকানদার,থানা আশুলিয়া,জেলা ঢাকা ৩। মোঃ ইলিয়াস (৪৫) পিতা-অজ্ঞাত,গ্রাম-ডেন্ডাবর ফকিরবাড়ী মোড়,থানা আশুলিয়া,জেলা ঢাকা। ৪। আবুল (৫৫) পিতা- অজ্ঞাত,গ্রাম-খেজুরটেক,থানা আশুলিয়া,জেলা ঢাকা।
এছাড়া ভুক্তভোগী আফরোজ লিনা বলেন,১ নং বিবাদী আমাকে একাধিকবার ফোন করিয়া তাহার সহিত দেখা করার জন্য বলে। একই তারিখ সন্ধা ৫টা ৪০ মিনিটের সময় আশুলিয়া থানার খেজুরটেক ৪ নং বিবাদীর বাড়ীর সামনে পৌঁছামাত্র ২ নং বিবাদী আমাকে ডাকিয়া ৪ নং বিবাদীর বাড়ীর পেছনে একটি জঙ্গলে নিয়া যায়। সেখানে যাওয়ার পর বিবাদীদের দেখতে পাই। পরে বিবাদীগন জোর পূর্বক আমাকে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম সহ মদ সেবন করাইয়া আমার আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়া বিবাদীগন এক অপরের সহায়তায় আমাকে জোর পূর্বক আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে।
এসময় তিনি আরও বলেন বিবাদীরা আমার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা,এক জোড়া স্বর্নের কানের দুল, ওজন অনুমান ০৪ আনা,একটি স্বর্ণের চেইন ওজন অনুমান ০৭ আনা,একটি স্বর্নের আংটি ওজন অনুমান আড়াই আনা মোট মূল্য ১.৫১,০০০ টাকা নিয়া নেয়। তিনি আরও তারা আমাকে একা পেয়ে মারধর করে এবং শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমি বাধা দেওয়ায় তারা আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং এই অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার চাই।”
উক্ত বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ এর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,ভুক্তভোগী আফরোজ লিনা নামে এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য আশুলিয়া থানার এস আই মো: সাইফুল ইসলাম ও এএস আই জোবায়ের-কে দায়িত্ব দিয়েছি। আমি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিব বলে তিনি জানান। এছাড়া বর্তমানে এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এবিডি.কম/রাজু