নিজস্ব প্রতিবেদক ।। আশুলিয়ার গাজীরচট বসুন্ধরা এলাকায় মাদক বিক্রয় নিয়ে বিরোধের জেরে মোমেনুল ইসলাম মোমিন(২৮) কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৬জন-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার সময় বিষায়-টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার (তদন্ত) ওসি কামাল হোসেন। এসময় তিনি বলেন গতকাল রাত ১১টার সময় বাইপাইল বসুন্ধরা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুবেলের নেতৃত্বে মোমিন নামের এক জন-কে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত আড়াইটার দিকে সে মারা যায়। পরে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৬ জন-কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার কিছু আসামিরা হলোঃ (১) মোহাম্মদ নাজমুল (১৮) পিতা সুরুজ,থানা-আশুলিয়া,জেলা ঢাকা। (২) মোঃ আশিকুল ইসলাম আসিফ (২২),পিতা হারুন মিয়ার,গ্রাম দক্ষিণ বাইপাইল,থানা আশুলিয়া,জেলা-ঢাকা। (৩) মো: আলিফ (১৮),পিতা আনোয়ার হোসেন আনুর গ্রাম-দক্ষিণ গাজীরচট,থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। (৪) রমজান (২৬),পিতা সোহেল মিয়া,গ্রাম-দক্ষিণ গাজীরচট,থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা।(৫) মো. ইব্রাহিম,পিতা দৌলত মিয়া,গ্রাম ধামগর পূর্ব পাড়া,থানা মুরাদনগর,জেলা কুমিল্লা। (৬) নজরুল।
স্থানীয়রা জানান,মাদক ব্যবসা নিয়ে রুবেল ও মোমিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রুবেল বিভিন্ন সময় মোমিনকে মাদক ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব দেয়। মোমিন তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে রাতে রুবেলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ মোমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শী ইমরুল হাসান বলেন,রাতে তিনি মোমিনের সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ঘটনাস্থলের পাশের একটি চটপটির দোকানের সামনে রুবেল ও তার অনুসারীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মোমিনকে দৌড়ে পালাতে বলেন। মোমিন দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে যায়। এ সময় তারা তাকে প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া নিহত মোমেনুল ইসলাম মোমিন বন্ধু শামিম হোসেন বলেন,কিশোর গ্যাং তৈরির কারিগর রুবেল হোসেন রাতে মোমিনকে হত্যার আগে, তার বাসায়ও হামলা করেছিল। এছাড়াও নিহতের স্ত্রী বিউটি আক্তার বলেন, রুবেল মাদকের ব্যবসা করতো। সে আমার স্বামীকে মাদক বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে,সে রাজি হয় নাই ৷ পরে আমাকেও প্রস্তাব দিয়েছে আমিও মানা করে দিয়েছি। পরে হুমকি দিয়েছে। তাও না শোনায় পরে বলেছে,একবারে মেরে দিমু। পরে একবারে মেরে ফেললো। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
উক্ত বিষয়ে আশুলিয়া থানার (তদন্ত) ওসি মো: কামাল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম-কে তিনি বলেন,এস’পি স্যার এর নির্দেশে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে,এই অভিযান-টি তার একটি অংশ। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সঙ্গে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে সেই মামলায় তাদের-কে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এবিডি.কম/সিয়াম