আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক: আশুলিয়ায় বহু শ্রমিক সংগঠনে মাঝে উজ্জল তারকার মতো পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে শ্রমিক ও সাধারন মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকবর হোসেন মৃধা। তিনি শ্রমকি সংগঠনের রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তন এনেছেন একথা সর্বজন কীৃত। শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে তিনি যে অবদান রেখেছেন গত ৩০ বছরেও এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি অতীতে কেউ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে জাতীয় শ্রমিক লীগের অবস্থানকে দৃশ্যমান করে তুলেছেন। যার কারনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পেরেছেন।
আওয়ামী লীগের পাশাপশি সাংগঠনিক ভাবে জাতীয় শ্রমিক লীগের পরিচ্ছন্ন ইমেজ সৃষ্টির পেছনে সংগঠনটির সভাপতি আকবর হোসেন মৃধার অবদান অনকার্য। ইয়ারপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকার ঐতিহ্যবাহি মৃধা পরিবারের জন্ম আকবর হোসেন মৃধার। উনিশশত একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার পরিবারের সহায়তায় রাজাকারদের হাত থেকে রক্ষা পায় অনেক হিন্দু পরিবারের লোকজন। শত শত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা তার পিতা আলতাব হোসেন মৃধার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেছেন। তার পিতা নিজে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে আশুলিয়া বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজের বাড়িতেই খুলেছিলেন ‘লঙ্গরখানা’।
ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হিসাবে তার আরেক সহোদর বিল্লাল মৃধার সাথে রাজনীতিতে সরাসির সম্পৃক্ত হন তিনি । এক সময় রাজপথে সৈরাচারী এরশাদ ও জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের বিভিন্ন দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের লড়াকু সৈনিকের ভুমিকায় ছিলেন আকবর হোসেন মৃধা। আশুলিয়ায় শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোন সময় আকবর হোসেন মৃধা বট বৃক্ষের মতো এক নিবেদিত প্রাণ। এলাকায় শ্রমিক নেতৃত্বে তার ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। যার কারনে এই অঞ্চলের শ্রমিক নেতৃত্বের নামের সাথে আকবর হোসেন মৃধার নাম সবার আগে উচ্চারণ হয়।
তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগের আঞ্চলিক কমিটির দায়িত্বভার গ্রহনের পর অত্র এলাকার শিল্প-কারখানার শ্রমিক-মালিক রয়েছে নিরাপদে। শ্রমিকলীগের নামে শিল্পাঞ্চলে নেই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কোন কর্মকান্ড।
যার হাত ধরে রাজনীতিতে পর্দাপণ তিনি হলেন সাভার আওয়ামী কৃষকলীগের প্রবীন নেতা এলাকার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব বিল্লাল হোসেন মৃধা। তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় আজ তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগের রাজনীতিতে দৃস্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম সাভারে জাতীয় শ্রমিকলীগের আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেন। সাবেক পাণি সম্পদ মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত থেকে জাতীয় শমিকলীগের আঞ্চলিক কমিটির দায়িত্বভার তাকে অর্পন করেছিলেন। সেই সময় আঞ্চলিক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন আকবর হোসেন মৃধা। এর পর দীর্ঘ একযুগ ধরে নানা সময় রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের রোষানলের শিকার হন। বিভিন্ন মিথ্যা- সাজনো মামলা হামলার শিকার হয়েও রাজপথে জাতির পিতার আদর্শকে বুখে ধারন করে অটল ছিলেন তিনি।
তৎকালীন সময় জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে আকর হোসেন মৃধার রাজপথে থেকেছেন তিনি। যার কারনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রোষানলে পরতে হয়েছে তাদের পুরো পরিবারকে। জোট সরকারর সময়কার স্থানীয় সাংসদ ও তার পেটুয়া বাহিনীর লোকজন তাদের শত বছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক ভুমি জবর দখলের নানা পায়তারা করেছিলো।
নিজ উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শাহাদাত বাষিকী পালন ও বিশাল গণভোজের আয়োজন করে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ঢাকা-১৯ আসনের এমপি ও সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানও তাকে মন থেকে ভালবাসেন।এই প্রতিবেদককে বলেন, গনতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ছাত্র হিসাবে আমি আমৃত্যু আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চাই।
জাতির পিতা দিয়েছেন আমাদের স্বধীনতা আর তারই সুযোগ্য কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন এদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছন। তার এই ধারাবাহিকতা কে আরো বেগবান করতে আমি আগামীতে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্বভার নিতে চাই।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম