আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক: আশুলিয়ায় মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় রবনি (৩৩) নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ইয়ার পুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাজন ভুঁইয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় টানা দশ দিন চিকিৎসা শেষে ওই শ্রমিক শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত (৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে নরসিংহপুর এলাকার হামী- ম গ্রুপের পাশে মোল্লা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শ্রমিক রবিন জানান, তিনি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরী করেন।
তবে গত দুই মাস আগে শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে চাকরী ছেড়ে দেন। এর পরে গত কয়েক দিন যাবৎ পুনরায় চাকরীর খোজ করছিলেন। চামরী খোজার জন্য মঙ্গলবার রাতে হামী- ম গ্রুপের এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে ওই এলাকায় তার এক সহকর্মীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় স্থানীয় একটি সড়কের পাশে দাড়িয়ে কথিত যুবলীগ নেতা রাজন ভুইয়া, রাসেল কমান্ডার, মাসুদ ওরফে পালসার মাসুদ, সহ আরো বেশ কয়েজন মদ খেয়ে মাতলামো করছিলেন। হঠাৎ করেই রাজন ভুইয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী শ্রমিক রবিনকে ডেকে নিয়ে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে রবিন মারধরের প্রতিবাদ করলে কথিত যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে দেয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শ্রমিককে টাঙ্গাইলের একটি গাড়ীতে উঠিয়ে দিয়ে জামগড়া এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেয় রাজন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এদিকে শ্রমিক রবিন টানা দশ দিন টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার আশুলিয়া থানায় এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয়রা বলেন, রাজন ভুইয়া এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া কোটি টাকার মালিকও তিনি। অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।
এছাড়াও কথিত ওই যুবলীগ নেতা প্রায় রাতে মদ খেয়ে সড়কের উপর দাড়িয়ে মাতলামো করেন বলেও তারা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে কথিত যুবলীগ নেতা রাজন ভুইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি এলাকার ছেলে, যাকে পিটিয়েছি সে গাজা সেবী। এলাকার ছেলে হিসাবে গাজা সেবীকে পুলিশে না দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যুবলীগ করি, আমাকে আইন শেখানোর দরকার নেই বলে মুঠোফোনের সংযোগটি কেটে দেন।
এছাড়াও তিনি নিজেকে আগামী দিনের ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেও দাবী করেন। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।