শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার চাদাঁবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তার চাঁদাবাজীর কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছেনা এলাকার ছোট বড় ব্যবসায়ী, ক্যারাম বোর্ড, ফুটপাত, চা দোকানী, মুদি দোকানী থেকে শুরু করে এলাকার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারক সুইপার শ্রেনী পেশার মানুষ। ধামসোনা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ- সভাপতি মোঃ মৃদুল হোসেন এখন এলাকার আতংকের নাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি নেতা মৃদুল আগে থেকেই এলাকায় চাঁদাবাজী , ফিটিং বানিজ্য,চড়া সুদে টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল।
২০১৮ সালে হঠাৎ করেই সে স্বেচ্ছাসেবকলীগে যোগ দিয়ে ৮নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি পদ পায়। এরপর থেকেই সে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। সে এলাকাবাসীর কাছে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কাউয়া নেতা হিসাবেও পরিচিত। গত ১৫/০১/১৯ ইং মঙ্গলবার দুপুরে চাদাঁ দিতে অস্বীকার করায় দুইজন ময়লা পরিস্কার(সুইপার) কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে মৃদুল ও তার লোকজন। এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। থানায় অভিযোগ ও ভূক্তোভোগি সুত্রে জানা যায়, স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন এলাকায় বাসাবাড়ির ময়লা/আবর্জনা পরিস্কারের জন্য মোসাঃ সুকেদা বেগম ওরফে সুকন্যা (পাগলী) কে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি অনুমতি পত্র দেওয়া হয়। তারপর থেকে সে উক্ত এলাকায় ময়লা/আবর্জনা পরিস্কারের কাজ করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ সুকেদা বেগমের কাছে পোলাপান চালাতে টাকা দিতে হবে বলে,সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ মৃদুল হোসেন চাদাঁর দাবী করে আসছিল। তাকে চাদাঁ না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে মৃদুল ও তার লোকজন সুকেদা বেগমের আবর্জনা ভর্তি গাড়ী ভাংচুর করে এবং ড্রাইভার আমজাদ ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সেই সাথে চাঁদা না দিয়ে এলাকায় বসবাস করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এরপর সুকেদা বেগম বাদী হয়ে মৃদুল ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলে জানান। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এস আই) মোঃ আজাহার হোসেন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুকেদা বেগম নামের নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, নিজেকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দিয়ে মোঃ মৃদুল হোসেন জানান, চাঁদাবাজীর বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট। তবে রাজনীতি করিতো, পোলাপান চালাতে টাকা পয়সা লাগে। আমিতো শুধু ময়লা /আবর্জনা পরিস্কারের কাজটা নিজে করতে চাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তাকে বলে দিয়েন মৃদুলের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও লাভ হবে না, বরং এলাকা ছাড়তে হবে, কারন আমি এখন সরকার দলীয় নেতা।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ মুন্সীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি অপকর্ম করে তার দায়ভার দল বহন করবে না। যে কেউ দলের সুনাম ক্ষুন্নের কাজ করলে তাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকলীগে কোনও সন্ত্রাস,চাদাঁবাজ বা অপকর্মকারীর ঠাই হবে না।