স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক ওয়ার্ড যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দখল, চোর সিণ্ডিকেডকে শেল্টার দেয়াসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুর থানার ৩২ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের সাথে জড়িত।
নাযায়, গভীর রাতে রুবেল তার দল নিয়ে, রাস্তার পাশে থাকা সরকারি বৈদ্যুতিক তার চুরি করে বিভিন্ন মানুষের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি করে। মানুষ জানাজানি হলে, ভয়ে তার বিষয়ে কেউ কথা বলতে চান না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর থেকে মেহেদী হাসান রুবেল, জাকির হোসেন রোডের সি ব্লকের একটি ভবনের কয়েকটি ফ্ল্যাট দখল করে আছে। সেখানে সেই দখলকৃত বিল্ডিং এর নিচে তার নিজের জন্য একটি অফিস খুলেছেন। সন্ধ্যা হলেই, সেখানে চলে আড্ডা আর চাঁদাবাজি ও চোরাকারবারির হিসাব।
রুবেলের গোপন চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব নিয়ে অনেকে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। সাহস দেখিয়ে যদি কেউ প্রতিবাদ করেন, তার উপর করা হয় সন্ত্রাসী হামলা। রুবেলকে তার অপকর্মের জন্য কিছু বললে সে পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে । এবং সে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আমার অনেক বড় ভাই আছে।
মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদক বিক্রির বড় অংশের টাকা দিতে হয় রুবেলকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল বলেন, এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন হয়েছে। একটি পত্রিকায় লেখা হয়েছে, আমি নাকি মোহাম্মদপুরে কোন ব্যবসা প্রতিষ্টানে চাঁদা চেয়ে গুলি করেছি। এসব ঘটনায় সেনাবাহিনী আমাকে ধরে নিয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রেখেছিলো। সম্পৃক্ততা না পেয়ে ছেড়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থাও তদন্ত করছে।