ঢাকা।। পাকিস্তানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে মৃত্যুও সংখ্যাটাও বাড়ছে। ক্রমশ করোনার কালো থাবায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে ইমরান খানের দেশ। শুক্রবার পাক সরকার জানিয়েছে, এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন আক্রান্ত ২৮০ আর মৃত ৬৬ জন।
এদিন সকালে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ৪৫ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭২৭ জন।
পাকিস্তান সরকারের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ হাজার ৭০৬ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ২ হাজার ৪৭৮ জনের। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পাঞ্জাব প্রদেশে। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ২৭০ জন। এর পরেই সিন্ধু প্রদেশে আক্রান্ত ১ হাজার ১২৮ জন। রাজধানী ইসলামাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ এবং পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৩৩।
পাকিস্তানের দুর্বল আর্থিক অবস্থা আরও ভেঙে পড়েছে করোনাভাইরাসের ধাক্কায়। তবে সরকার গরিব পরিবারগুলিকে এককালীন ১২ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে এই সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
করোনা নিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করাই পাকিস্তানের কাছে প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। শেষে জনগণকে সতর্ক করতে নিউইয়র্কের উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি করোনা হাসপাতালের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে ইমরান বলেন, ‘নিউইয়র্ককে দেখুন। কী অবস্থা ওখানে। সবচেয়ে ধনী মানুষের বসবাস সেখানে। কিন্ত করোনা সংক্রমণে মৃত্যুকে ঠেকানো যাচ্ছে না।’
পর্যবেক্ষকদের মতে, ইমরান বোঝাতে চেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা অবকাঠামো অত উন্নত, মানুষের হাতে অত টাকা, তাও তারা করোনা মোকাবেলা করতে পারছে না। সুতরাং সতর্ক না হলে পাকিস্তানের সামনে মহাবিপদ। সূত্র- বিজনেস টুডে।