কলাপাড়া প্রতিনিধি।। কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্বল্প আয়ের মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি পণ্য ক্রয়ের তালিকায় কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে এর নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের হাতে। ওই ইউনিয়নে কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়সহ পণ্য বিতরণেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে তিনটি খাদ্যপণ্য-চাল, ডাল ও তেল বিক্রি কর্মসূচি শুরু করেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি।
এ কর্মসূচির আওতায় কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য বিক্রিতে নিযুক্ত করা হয় দুই টি ডিলার। ঐ ইউনিয়নে টিসিবির আওতায় মোট(ফ্যামিলি কার্ডপ্রাপ্ত) সুবিধাভোগী রয়েছেন ৯৩৫ জন। অভিযোগ রয়েছে ফ্যামিলি কার্ড অনলাইনকরণের সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সমর্থনরা প্রভাব খাটিয়েছেন।
বিশেষ করে ইউপি সদস্যরা নিজ নিজ সমর্থকদেরই কার্ড দিতে চেষ্টা করছেন। ফলে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকেই সরকারি এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে টিসিবি পণ্য বিতরণেও প্রভাব খাটিয়ে অন্যান্য সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কার্ড জিম্মি করে রাখেন ইউপি সদস্যরা। পরে সেই কার্ড দেখিয়ে ইউপি সদস্য ও তার অনুসারীরা ডিলারদের কাছ থেকে পন্য ছাড়িয়ে নেন।
ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,আমাদের কার্ড থাকা সত্বেও আমরা টিসিবি’র মাল পাইনি। অথচ স্থানীয় কিছু মানুষ তাঁরা এক এক জনে ২০ থেকে ২৫ নামের মাল ছাড়িয়ে নিয়ে যায় বলে এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। ভুক্তভোগীদের দাবী সঠিক ভাবে বিসিবি’র পন্য বিতরণ করা হোক।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, মো. কাইউম সিকদার জনান, ডিলাররা ইতিপূর্বে যে সকল মালামাল দিয়েছে তার পাচঁ থেকে ছয় দিন আগে জানিয়ে রাখছে। এইবার এক দিন আগে জানানো হয়েছে তাই ত্রুটি বিচ্ছেদ হতে পারে। আমার দাবি ডিলাররা সঠিক সময় আসবে এবং সঠিক টাইম মতো থাকবে। তবে অনিয়ম হইছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিডি.কম/শিরিন আলম