অমিত কর্মকার,লোহাগাড়া প্রতিনিধি।।চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে শোভামন্ডিত বড়হাতিয়ায় অতি প্রাচীনকালে মগদিঘী। তাছাড়া অত্র উপজেলায় বিভিন্ন জনপদ ছিল ঝোপ-জঙ্গলবেষ্টিত। উঁচু-নীচু, পাহাড়-পর্বত ও টিলা নিয়ে গঠিত ভৌগোলিক অবস্থান ছিল শ্বাপদসঙ্কুল। বড়হাতিয়া ইউনিয়নের আমতলী গ্রাম ছিল অনুরূপ। হাজার বছর পূর্বে এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করত নানা শ্রেণীর উপজাতি। বিশেষ করে মগ সম্প্রদায় ছিল সংখ্যা গরিষ্ট। কোন ধরণের সামাজিকতা ও সভ্যতা ছিল না। তারা থাকত উলঙ্গ। কেউ কেউ গাছের পাতা ব্যবহার করে লজ্জা নিবারণ করত। দিনে জীব-জন্তু শিকার করত।
দিনে জীব-জন্তু বা বৃক্ষের জালে রাতযাপন করত। শিকার করা জীব-জন্তুর কাঁচা মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করত বলে উলেখ আছে। সংস্কৃতির ভিন্নতায় তাদের জীবনযাত্রা ছিল অদ্ভুদ। অভাব ও চাহিদা পূরণে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করত। বিভিন্ন দেব-দেবীর উপসনায় নির্মাণ করে উপসানালয়। বড়হাতিয়ার আমতলী গ্রাম বাংলার একটি জনপদ। প্রাচীনকালের কিছু কিছু নিদর্শন এখনো শোভা পাচ্ছে। গাঁয়ে চলা মেঠো পথ থেকে হারিয়ে গেছে অযত্ন ও অবহেলায় কিছু কিছু নিদর্শন। এ’সব নিদর্শন বর্তমান প্রজন্মদের স্মরণ করিয়ে দেয় প্রাচীন যুগ সম্পর্কে। আমতলীর বিশাল আয়তনের মগদিঘী হারিয়ে যাওয়া নিদর্শনের অন্যতম।
মগদিঘী অতি প্রাচীন ঐতিহ্য। এর সঠিক তথ্য দেয়ার মতো বর্তমানে এলাকায় কেউ নেই। প্রাপ্ত তথ্যসমূহ জনশ্র“ত।
এ’তথ্যানুসারে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে পানীয় ও ব্যবহার্য জলের অভাব ছিল। বর্ষায় পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া পানি নীচে সমতল জায়গায় জমা করে রাখত। কিন্তু, ওই পানিতে তাদের চাহিদা পূরণ হতনা। পরে সিদ্ধান্ত নিল কুয়া খনন করে তারা তাদের পানির চাহিদা মেটাবে। ফলে, বর্তমান স্থানে বিশাল আয়তন বিশিষ্ট একটি কুয়া খনন করে পাহাড়ে বসবাসকারী মগ-মুরংসহ বিভিন্ন শ্রেনীর আদিবাসীরা পানির অভাব দূর করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ওই কুয়া মগদিঘী নামে পরিচিতি লাভ করে। দিঘীর পাড়ে এখনো আছে মগ সম্প্রদায়ের স্মৃতি বিজড়িত বটগাছ ও মগদেশ্বরী উপসনালয়। ভক্তরা আজো সম্মান করে যাচ্ছেন।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম