ইমরান হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক ।। কেশবপুরে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি নদীর কচুরিপনার অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। কচুরিপনার কারণে হরিহর নদ,খোঁজাখালি খাল ও বুড়িভদ্রা নদীতে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়ে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
আবদ্ধতার কারণে এলাকায় প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়। গত দু’দিনে ১৭ ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধির অন্যতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয় শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত কচুরিপনায় আবদ্ধ নদ-নদীগুলো।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫০ জন শ্রমিক দিয়ে মঙ্গলবার থেকে হরিহর নদ থেকে উৎপত্তি খোঁজাখালি খালের কচুরিপনা অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরকেন্দ্রীক হরিহর ও বুড়িভদ্রার কচুরিপনা অপসারণ করা হবে।
পৌরসভার কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন, সম্প্রতি এলাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনকে অবহিত করা হয়। তিনি (ইউএনও) জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতায় খোঁজাখালি খালের কচুরিপনার অপসারণের উদ্যোগ নেন। খোঁজাখালির উৎপত্তিস্থল থেকে মধ্যকুল স্লুইস গেট পর্যন্ত কচুরিপনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আহসানুল মিজান রুমী বলেন, গত দু’দিনে ১৭ ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, কেশবপুর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদী কচুরিপনায় আবদ্ধ হয়ে পড়ায় এডিস মশা বংশবিস্তার করছে। শুধু আবদ্ধ নয়, পরিষ্কার পানিতেও এডিস মশা জন্মায়।
উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ডেঙ্গু বিস্তার রোধে হরিহর নদ থেকে উৎপত্তি খোঁজাখালি খালের কচুরিপনা অপসারণ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদীর কচুরিপনা অপসারণ করা হবে।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম /শিরিন আলম
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম