অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। খেলোয়াড়দের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় দুর্বার রাজশাহীতে জেরবার অবস্থা। এরই মধ্যে জানা গেলো, এবারের আসরের অন্তত আটটি ম্যাচকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে অ্যান্টি করাপশন ইউনিট এই ম্যাচগুলো নিয়ে তদন্ত করবে।স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে, তবে এখনো প্রমাণিত হয়নি। এ নিয়ে কাজ করছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ। ফিক্সিংয়ের সন্দেহের তালিকায় আছেন যে সব ক্রিকেটার তাদের মধ্যে একজন দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। যার কারণে তার দেশত্যাগে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও।
জানা যায়, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হককে যেন দেশ ছাড়তে না দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘মিস্টার এনামুল হকের ব্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে।
এ ব্যবস্থা অবশ্য আপৎকালীন। দুর্নীতি দমন বিভাগ নেমেছে তদন্তে। সে তদন্ত চলাকালে আপৎকালীন সিদ্ধান্ত হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞার অনুরোধ করেছে বিসিবি। তবে তার ওপর আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হলে সেটা তুলে নেওয়া হবে শিগগিরই।এনামুল একা নন, রাজশাহীর একাধিক ক্রিকেটারকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে। আবার রাজশাহীসহ সব মিলিয়ে ১০ জন ক্রিকেটার ও চার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মনিটর করছে এসিইউ, এমনটাই কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে দেশের একটি গণমাধ্যম। ১০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দুইজন বয়সভিত্তিক পর্যায়ের বাংলাদেশি খেলোয়াড় এবং দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার। তারা হলেন, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, নাজমুল অপু, থিসারা পেরেরা, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, আলাউদ্দীন বাবু, শুভম রানজানে (যুক্তরাষ্ট্র), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ আরও কয়েকজন ভিনদেশি ক্রিকেটার।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম