ডেস্ক নিউজঃ বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলায় ফোনে বেশি কথা বলা এবং খাবারে ঝাল বেশি দেওয়ার কারণে এক নববধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে তার স্বামী।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শাকপালা দীঘিরপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর নাম নুরজাহান বিবি (২৮)।
বুধবার সকালে স্বামী শাহীন আলমকে (৩২) বগুড়া সদর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের বাসার পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। শাহীর বগুড়া সদর উপজেলার কদিমপাড়া গ্রামের দৌলতুজ্জামানের ছেলে। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের কেবিন ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করেন। নিহত নুরজাহান বিবি শিবগঞ্জ উপজেলার দাইমুল্যা গ্রামের মৃত সাবাশ শিকদারের মেয়ে।
শাহীনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বনিবনা না হওয়া, ফোনে অতিরিক্ত কথা বলা ও রান্নায় ঝাল বেশি দেওয়ায় নুরজাহানকে হত্যা করেছেন তিনি।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, এটি নুরজাহান ও শাহীন দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। নুরজাহান বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে রোগি নিয়ে গেলে তার সঙ্গে শাহীনের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জের ধরে গেল ২২ আগস্ট তারা বিয়ে করেন। এরপর শাকপালার দীঘিরপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তালা দেওয়া ঘরের বিছানায় নুরজাহানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন প্রতিবেশী। পরে খবর পেয়ে শাজাহানপুর পুলিশ দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, ফোনে বেশি কথা বলা ও রান্নায় বেশি ঝাল দেওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। আর এ থেকেই শাহীন স্ত্রী নুরজাহানকে গলাকেটে হত্যা করেন। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, বুধবার সকালে বগুড়া সদরের একটি স্থান থেকে নুরজাহানের স্বামী শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম