নিজস্ব প্রতিবেদক।। অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের দৃষ্টি অন্তর্ভেদী, সেই দেখাই তাঁর লেখাকে দিয়েছে বাড়তি সমীহ। তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বৃত্তে সমাজের বিশিষ্টরা। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক তাঁর সাংবাদিক সত্তাকে কখনও আচ্ছন্ন করেনা। সদাহাস্যোজ্জ্বল হিসাবে নিজেকে সহজ করে সংবাদ সংগ্নিরহ ও পরিবেশন করেন খায়রুল আলম রফিক । বয়স বা পদের গুরু-দূরত্ব তাঁকে কোনও দিন অনুজদের কাছে অচেনা করে রাখেনা। দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বপালনকালে খায়রুল আলম রফিককে সহযোদ্ধারা কাছের মানুষ ভাবতেও তাই সময় লাগেনি। উজ্জ্বল দৃষ্টি, আর অবিন্যস্ত ক্লিনসেভের ফাঁকে একটু ফিচেল হাসির রেখা। সবমিলিয়ে এটাই হল খায়রুল আলম রফিকের মলাট। পাতা ওল্টালে ভরপুর গল্প, মজা, অভিজ্ঞতার নানা কাহিনিতে শিখে নেওয়ার উপকরণ।এখন দায়িত্ব নিয়ে ব্যবস্তা বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) সভাপতি , ২৪ ঘন্টা নিউজের এডিটর-ইন-চিফ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে । সদা ব্যস্ত থাকেন শিখর চুড়োয় তাঁর লেখালিখি নিয়ে। নিতান্ত মামুলি রিপোর্টারা দৌড়ে বেড়ান নিজেদের অ্যাসাইনমেন্টে। কিন্তু সেই ফাঁকটা ভরাট করে কাছে আসার রাস্তাটা খুলে দিয়েছেন তিনি নিজেই। তাই অল্প দিনেই তিনি সকল সাংবাদিকদেরও কাছের মানুষ।
চাক্ষুষ পরিচয়ের অনেকের চোখে হিরো খায়রুল আলম রফিক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী সাংবাদিকতা ,অভিজ্ঞতার অফুরান ভাণ্ডারি খায়রুল আলম রফিক।তিনি প্রধানত রিপোর্টার। দেখার চোখ অন্তর্ভেদী। একই জায়গায় দশজন যা দেখেন,খায়রুল আলম রফিক দেখেন অন্যরকম। আর সেই দেখাটাই তাঁর লেখাকে দিয়েছে বাড়তি সমীহ। সহযোদ্ধাদেরও উপদেশ দেন, যখন কোথাও যাবেন, নিজের মতো করে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করবেন। যাতে রিপোর্টে নিজস্ব ছাপ থাকে। অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়। শুধু লেখার হুল নয়, নিছক মজায় বস-দের জ্বালাতন করাতেও খায়রুল আলম রফিকের জুড়ি মেলা ভার। চিফ রিপোর্টার তো দূরস্থান, খোদ সংবাদপত্রের সম্পাদকদেরকেও সেই জ্বালা সইতে হয়েছে। তবে সবই বিশুদ্ধ রসিকতা। আর বড়রা সেটা বুঝেন, উপভোগও করেন। বাস্তবে বাড়ি-গাড়ি-সংসার বিষয়ে খায়রুল আলম রফিক চরম উদাসীন।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক সংবাদিকতার প্রতিটি স্তরে কৃতী। সাংবাদিকতার স্বীকৃতিতে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। রিপোর্টার খায়রুল আলম রফিকের পরিচিতির জগৎ স্বাভাবিক ভাবেই বিস্তৃত। তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বৃত্তে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ । সেখানে দল, মত, গোষ্ঠীর কোনও নেই বাছবিচার । তবে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক কখনও তাঁর সাংবাদিক সত্তাকে আচ্ছন্ন করেনা। যা উচিত বলে মনে করেন পরম বন্ধুর বিরুদ্ধে হলেও সে কথা লিখতে তাঁর দ্বিধা নেই। এই আপসহীনতাই খায়রুল আলম রফিকে এগিয়ে এনেছে । জনপদকে সংবাদ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রকারীদের লিখনিতে বুঝিয়ে দেন, সাংবাদিককে তার কাজ থেকে, নাগরিককে তার অধিকার থেকে, নির্বাসিত হতে দেবেন না।
খবর থাকলে ভুলও থাকবে। থাকবে একশো আপত্তির, ছ’শো অনুযোগ। আগেও সংবাদপত্রে কুৎসিত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে তাঁবেদারি, সবই ছিল। তবু নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়, মানুষের মর্যাদা, গণতন্ত্র — প্রতিটি ধারণাকে গুটিকয় ইংরেজি-শিক্ষিত, ধনীর বৈঠকখানা থেকে হাটেমাঠে, উঠোন-দাওয়ায় টেনে এনেছিল সংবাদ। আজও আনছে। নাগরিকও তা জানেন। বহু ছাইভস্মের মধ্যে এক কুচি সোনা যেমন ঝকঝক করে ওঠে, তেমনই প্রচারের ভুষোমালের মধ্যে থেকে একটা সাচ্চা খবর। চোখে পড়লেই মনে গেঁথে যায় । বিশ্বাস হয়ে যদি থাকে খায়রুল আলম রফিকের লেখা খবর । পাশপাশি সাংবাদিকের অধিকার নিয়ে লড়াইও তিনি লড়ে যাচ্ছেন । সাংবাদিককে তার কাজ থেকে, নাগরিককে তার অধিকার থেকে, নির্বাসিত হতে দেবেন না।চোখে পড়লেই মনে গেঁথে যায় যদি থাকে খায়রুল আলম রফিক প্রকাশিত খবর ।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম