আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। প্রিয় নেত্রী, মমতাময়ী “মা” দেশরত্ন শেখ হাসিনা। শুরুতেই দোয়া ও ভালবাসা গ্রহণ করবেন।
আজকে করোনা ভাইরাস/কোভিড-১৯ এর মহামারী, এ সময়ে আমরা কতিপয় ছোট ছোট ISP মালিক ও কর্মী, জরুরী সেবা হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সোনার কাঠির সার্ভিস দিয়ে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সার্ভিস ঠিক রাখছি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের সার্ভিস দিতে গিয়ে রাস্তায় যেমন কোভিড-১৯ ঝুঁকিতে আছি, তেমনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি, তাদের কে কোন ভাবে বুঝাতে পারছি না যে আমরা যদি সার্ভিস দিতে না পারি ডিজিটাল বাংলাদেশ ১ মিনিটেই মুখ থুবরে পরবে। এমনকি বাসা মালিকদের সেচ্ছাচারীতা ও আমাদের সার্ভিস ঠিক রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে।
শত বাধা উপেক্ষা করে ও অন্যান্য জরুরী সেবার ন্যায় ইন্টারনেট দুনিয়া কে সচল রাখতে যুদ্ধকালীন সময়ের ন্যায় দেশকে সচল রাখতে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করেই প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিরলস প্রচন্ড কষ্ট ও আত্নঃ অভিমান সত্ত্বেও কর্মী সংকট ও অর্থের পর্যাপ্ত যোগান না থাকলেও সার্ভিস নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে অনেক প্রতিষ্ঠানের অনেক মালিক সহ উচ্চ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা সরাসরি মাঠ পর্যায়ের কাজে অংশগ্রহণ
করার মাধ্যমে দেশের এই সংকট কালীন সময়ে, সর্বাধিক চাহিদার খাত হিসেবে পরিলক্ষিত ইন্টারনেট সেবাকে সমুন্নত রাখতে নিরলসভাবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইন্টারনেট সেবার মান অক্ষুণ্ণ রেখেই চলমান মহামারী মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডাক্তার নার্সদের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। যার ফলশ্রুতিতে আজকে সবাই হোম অফিস, অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স মিটিং সব আমাদের সার্ভিসের কারণেই হচ্ছে।
তারপর আমাদের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে প্রতিমাসে গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত বিলের টাকা, আমাদের অধিকাংশ গ্রাহক ছুটিতে গ্রামে চলে গেছে, অধিকাংশ অফিস সমূহ ছুটিতে থাকায় সেখান থেকেও বিল কালেকশন হচ্ছে না। আবার যারা আছেন তারাও আমাদের বিল দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এমতাবস্থায় আমাদের ৬০% রেভিনিউ আপস্ট্রীম বিল হিসাবেই খরচ হয়ে যায়।
তারপর যেই কর্মিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে তাদের বেতন ভাতা, অফিস ভারা আছে তারপর কোভিড-১৯ এর জন্য সিকিউরিটি বাবদ আমাদের আরো বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। সবাই বাসায় থাকতে আমাদের বাড়তি ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে বারতি খরচ ও এসে ভর করেছে আমাদের কাধে।
অনাকাঙ্ক্ষিত সৃষ্ট এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোধ করতে সরকারি ভাবেই সারা দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। পাশাপাশি সকল প্রকার দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকার ফলে কর্মহীন হয়ে গেছে অনেক মানুষ। এহেন সময়ে সম্ভব হচ্ছে না সময়মত বাড়ি বাড়ি গিয়ে কালেকশন করা, পাশাপাশি চলতি মাসের বিল পরের মাসে দিয়ে দিব গ্রাহকের এমন অনুরোধ কে উপেক্ষা করা।
পক্ষান্তরে, গ্রাহকদের প্রায় ৫০% চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি চাহিদা মিটিয়ে সার্ভিসের মান ঠিক রাখতে বাড়তি ব্যান্ডউইথ ও ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটি বাড়াতে দিতে হচ্ছে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা। চলমান সংকটে গ্রাহকদের থেকে সময়মত বিল কালেকশন করতে না পারায় স্টাফদের বেতন-ভাতা –আপস্ট্রিম বিল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অধিকাংশ আইএসপি কোম্পানিগুলোর।
সংকট কালীন সময় আরও কিছু দিন বাড়লে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষমতা হারাবে অধিকাংশ আইএসপি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান মালিকেরা। যার ফলশ্রুতিতে সার্ভিস বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে একটু একটু করে গড়ে তোলা অধিকাংশ আইএসপি কোম্পানিগুলোর।
ফলে শহর ও গ্রাম পর্যায়ে কর্মহীন হয়ে পরবে প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাকরি করা হাজার হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বড় অংকের বিনিয়োগ করে এহেন পরিস্থিতিতে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হওয়া মালিকেরা নিঃস্ব অবস্থায়, হয়ে পরবে দিশেহারা
প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করেই ইন্টারনেট পরিষেবা কে জরুরী সেবা হিসেবে ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে আপনিই আমাদের দায়বদ্ধতা বারিয়ে দিয়েছেন। আমরাও সংকটময় পরিস্থিতিতে আপনার নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের অন্যান্য সংস্থা ও বাহিনীর সদস্যদের মতো স্ব স্ব অবস্থান থেকে চলমান মহামারী মোকাবেলায় নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা মাথার রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।
কাজেই আমরা সন্দেহাতীতভাবেই বিশ্বাস করি আমাদের কে সচল অবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়মত আপনি নিজেই নিবেন। তবু্ও আপনাকে অবগত করতেই এই খোলা চিঠি প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী "মা"।
আমাদের অধিকাংশ আইএসপি গুলোর অবস্থা এই মুহুর্তে খুব নাজুক, সবাই আপনার মুখ পানে চেয়ে আছে কখন আপনি আইএসপি সার্ভিস সেক্টরের
জন্য এই বৃহৎ সেক্টেরর মালিক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রেখেই যাতে সেবা প্রদান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে সেজন্য বিশেষ একটা প্রনোদণা প্যাকেজ ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে মা যেমন সন্তান কে ফেলে দিতে পারে না ঠিক তেমনি আপনিও " মা" হিসেবে সন্তানের বিপদে পাশে থেকে আমাদের তথা আমাদের সেক্টর কে মায়ের মত আগলে রাখবেন এমনটাই আমাদের চাওয়া।
তাই এই খোলা চিঠি দিয়ে মায়ের নিকট আমাদের আকুতি অতিশিঘ্রই একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যাতে আর্থিক ঝুকিতে পরে আমাদের সার্ভিস বন্ধ করতে না হয়। হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ কে আমরা কষ্ট দিতে চাই না
এমতাবস্থায় ইন্টারনেট জরুরী সেবা হিসেবে ঘোষণা করার সত্যেও এই করোনা ভাইরাস কভিড-১৯, এর দুর্যোগের সময় এলাকার কিছু লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী কায়দায় অবৈধ ভাবে আমার বৈধ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ক্যাবল, সুইস, এমসি, বক্স, কাটিয়া সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া রাখে, এমতাবস্থায় আমি বিবাদীদেরকে দেশের এই মহামারী সময়ে তাহাদের উল্লেখিত অবৈধ কার্যক্রম
হইতে বিরত থাকার জন্য অনুরুধ করিলে তাহারা তা কর্ণপাত না করে, আমার কর্মচারীদের ভিবিন্ন ভাবে হুমকি ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে। সর্বশেষ ০৪/০৪/২০২০ইং তারিখ রাত্র আনুমানিক ০৯ঃ০০ ঘটিকার সময় ৫/৭ জন মিলে আমার এলাকর ভিবিন্ন স্থানে আমার গ্রাহদের সংযোগ ক্যবল কাটিয়া এবং সুইস বক্স বিনষ্ট করিয়া সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে।
বিবাদীগন এলাকায় ভিবিন্ন অপরাধের সথে জরিত। এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাস এর পাশাপাশি, এলাকার এই অসাধু ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জরুরী এই ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে দিশেহারা হয়ে পরেছি।
এমতাবস্থায় অন্তত পক্ষে গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর মতো চলতি মাস সহ আগামী ২ মাস আমাদের আই আইজি আপষ্ট্রিম বিল ও এনটিটিএন এর বিল স্থগিত অথবা উক্ত বিল পরবর্তীতে ৩য় মাসে পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করার সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন সহ এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইন-আনুগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে মহা-দুর্যোগের ভয়ানক ক্ষতির আশংকার কবল থেকে ইন্টারনেট সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সমূহ কে রক্ষা করার জন্য আপনার মমতাময়ী হৃদয়ের সমবেদনা কামনা করছি।
পরিশেষে দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আমি- মোঃ লিয়াকত আলী সরকার
মালিক- (এসকিউব সরকার ক্যাবল নেটওয়ার্ক)
ক্যাটাগরি আইএসপি মোবাইলঃ- ০১৬১৫ ০০০ ৭০৭, হাজী শহর আলী মার্কেট (২য় তলা), শেরআলীর মোড়, দক্ষিণ গাজিরচট, আশুলিয়া, সভার, ঢাকা -১৩৪৯
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম