ইমন আল আহসান।। গরু লালন-পালন করে একদিকে মিটছে দুধের চাহিদা আবার সেই গরুর গোবর দিয়ে বায়ো গ্যাস তৈরি করে করছে রান্নার কাজ। বায়ো গ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট বর্জ্য জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করছে নিজের কৃষি জমিতে। বায়ো গ্যাস ব্যবহারে ফলে জ্বালানির জন্য যেমন গাছপালার উপর চাপ কমছে তেমনি এ বর্জ্য মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষক জাকির গাজী গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে উদ্বুদ্ধ করছে নিজ গ্রামের কৃষকদের। কৃষক জাকির গাজী নিজ উদ্যোগে একটি ট্যাংক কিনে, পরিত্যাক্ত গাড়ীর টিউব, পাইপ ও বিভিন্ন ধরনে স্ক্রু দিয়ে তৈরি করেছে বায়ো গ্যাসের ট্যাংকি সহ চুলা।
কৃষক জাকির গাজী জানান, সাড়ে আট হাজার টাকা খরচ করে তিনি তৈরি করছে একটি গ্যাস প্ল্যান্ট। মাত্র একটি গরু পালন করে গরুর গোবর দিয়ে রান্না করা যায় সারা মাস। এভাবে বছরের পর বছর। বায়ো গ্যাস তৈরি করলে জৈব সার হয় অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি’র ব্যবহার করা লাগে না। চার থেকে পাঁচ দিন পর পর গোবর গুলে এক’শ লিটার পরিমান বানিয়ে ট্যাংকিতে দিলে প্রায় পাঁচ দিনের রান্না হয়।
স্থানীয় কৃষক দুলাল গাজী জানান,আমি নিজেই এসে দেখেছি ঘরের পাক-শাক সব হয়। আমার গরু আছে আমি এটি করবো, গোবর জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
কৃষক মনির ফকির জানান, জাকির গাজী যে গ্যাসের পদ্ধতি করেছে এতে খরচ কম লাভবান বেশী।
বাপা আ লিক কমিটি কলাপাড়ার’র সদস্য সচিব মেজবাহউদ্দিন মান্নু বলেন, আমাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় বিষয় সে অজ পাড়াগায়ে বায়ো গ্যাস প্লান্ট করে, রান্ন্া-বান্নার কাজ করতাছে, এটি পরিবেশের জন্য সহায়ক। কৃষক জাকির গাজী’র কাছ থেকে শেখার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দেয়া যায়, জ্বালানী কাঠ পোড়ানো দরকার হবে না এবং গবাদী পশু পালনে মানুষের আগ্রহ বাড়বে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদুল মন্নান বলেন, গোবর থেকে যে গ্যাস হয় তাতে কৃষক জাকির গাজীর পরিবারের জ্বালানী হয়ে যায়। পাশাপাশি জ্বালানী হিসেবে কাঠের প্রয়োজন হয় না। এটি পরিবেশ বান্ধব। প্লান্ট থেকে অবশিষ্ট অংশ যে গোবর বেড় হয় এটা অত্যন্ত উঁচু মানের সার। এ সার মাটিতে ব্যবহার করলে মাটির মান অনেক বেড়ে যায় এবং যে কোন ফসল সহজে উৎপাদন করতে পারবে।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম