গাইবান্ধা প্রতিনিধি।। গাইবান্ধা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ থেকে অসাংগঠনিক ভাবে অব্যহতি প্রদানের প্রতিবাদে মোঃ হারুন অর-রশিদ আজ ২৮নভেম্বর সকালে প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের এক সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী ছিলাম এবং ইউনিয়ন যুবলীগের ১ম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।
পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। আমি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব। আমার পিতা মরহুম রইচ উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের যে কয়েকটি পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে সংগ্রাম করেছেন তার মধ্যে আমার পরিবার অন্যতম। আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আমি নিজেই নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশি। গত ২৫/১১/২০২০ইং তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারানোর ষড়যন্ত্র এবং বিএনপি’র প্রার্থীকে বিজয়ী করার পরিকল্পনা দায়ে আমাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে অভিযুক্ত করে সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করেছেন।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তফসীল হয়নি, সময় নির্ধারন হয়নি. জননেত্রী শেখ হাসিনা কাউকে নৌকার মনোনয়ন দেননি, আমি সেখানে কিভাবে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলাম। একই ইউনিয়নে জেলা যুবলীগের এক নেতা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি। কিন্তু মাঠ জরিপে আমার অবস্থান ভাল থাকায় ঐ যুবলীগ নেতা উপজেলা কতিপয় যুবলীগ নেতাদের সাথে আতাত করে আমাকে অন্যায়ভাবে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
তাহলে নৌকা চাওয়া কি আমার অপরাধ? আমি কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মহোদ্বয়ের নিকট আপনাদের মাধ্যমে আমাকে স্বপদে বহাল ও ষড়যন্ত্রকারীদের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের জন্য দ্রæত বিচার দাবি করছি।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/শিরিন আলম
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম