অমিত কর্মকার,লোহাগাড়া।। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ চিরসত্য সত্য বাণীটি সম্পর্কে আমরা সবাই ওয়াকিবহাল। একটা শিশু ভূমিষ্ঠ হবার আগ পর্যন্ত ১০ মাস ১০দিন তার মায়ের গর্ভে ধীরে ধীরে বড় হয়।
চিকিৎসক তথা পুষ্টি বিজ্ঞানীরা গর্ভবতী মায়েদেরকে গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্থায়ীভাবে গঠিত হয়,সরকারও গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যতশীল হন শুধুমাত্র একজন মা ও শিশু যেন শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকে। একজন শিশু কোন কিছু তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন শিখেনা বা শিখতে পারে না।
সে যখন ভূমিষ্ট হয়ে পৃথিবীর আলোর সংস্পর্শে আসে তখন তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কলেবর বৃদ্ধি পায়, সে ধীরে ধীরে কথা বলতে শিখে, হামাঁগুড়ি দিতে দিতে হাঁটতে শিখে, মা,বাবা ডাকতে শিখে, খেলাচ্ছলে বিভিন্ন কিছু চিনতে শিখে, এ সময় মায়ের ভুমিকা অপরিসীম। তার বয়স যখন পাঁচ বছর অতিক্রম করে তখন সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তির উপযোগীতা লাভ করে এবং তখন থেকে শুরু হয় তার শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপ।
প্রত্যেক কোমলমতি শিশুদের মাঝে কিছু কিছু প্রতিভা সুপ্ত অবস্থায় থাকে যা বিকশিত করার জন্য মায়েদের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার ও কাজ করে যাচ্ছেন। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কলেবর বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির মানোন্নয়ন তথা শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শ্রেণিকে চিত্তাকর্ষক ও নান্দনিক করে তোলার জন্য প্রতি বছর বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করে থাকেন।
নরম মাটিকে যেমন বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন ও চিত্তাকর্ষক বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় ঠিক তেমনি একজন কোমলমতি শিশুর সুপ্ত প্রতিভাকেও বিকশিত করা যায়। এই কাজে একজন মা তথা অভিভাবকের চেয়ে একজন শিক্ষকের ভুমিকা অপরিসীম। কিন্তু করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকের পক্ষে অধুনা সে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, এ অবস্থায় একজন শিশুর সার্বিক বিকাশ সাধনে একজন মা তথা অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/শিরিন আলম
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম