pinuppin uppin up casinopinup azpinappinup casinopin-uppin up onlinepin up azpinuppin uppin up casinopinappin up azpin up azerbaycanpin-uppinuppin uppin up casinopinup azpinup azerbaycanpin up azerbaycanpin up azerbaijanpin up azpin-uppin up casinopin up casino gamepinup loginpin up casino indiapinup casinopin up loginpinup indiapin up indiapin up bettingpinup loginpin up casino indiapinup indiapin uppinuppin-uppin up 777pin up indiapin up betpin uppin up casinopinup loginpin-up casinopin-uppinup indiapin up kzpinup kzpin-up kzpinuppin up casinopin uppin up kzпинапpin-uppin uppinuppin-upmostbetmosbetmosbet casinomostbet azmosbetmostbetmostbet casinomostbet azmostbet az casinomosbet casinomostbet casinomostbetmostbet aviatormostbet casinomostbet kzmostbetmosbetmosbet aviatormostbet casinomostbetmastbetmostbet onlinemosbetmosbetmostbetmosbet casinomostbet kzmostbetmosbetmosbet casino kzmostbet kzmostbetmostbet casinomostbet onlineмостбетmosbetmosbet casinomostbetmostbet kz1 win aviatoraviator 1 winaviator mostbetaviator1 win casino1win kz casino1 win bet1win kz1win casino1 winonewin casino1 winonewin app1 win game1 win aviator game1win1 win1win uz1win casino1 win online1 win1win casino1win aviator1 win1win casino1win1win aviator1 win1win casino1win online1 win az1win lucky jet1win1 win1 win az1win1win casino1win1 win1 win casino1win slot1win apostas1win slots1win apostalucky jetlucky jet casinolucky jetlucky jet crashlucky jet crashlucky jet casinomostbet lucky jetluckyjetlukyjetlucky jetlucky jet crashlucky jetlucky jet casino4rabet pakistan4rabet4era bet4rabet bd4rabet bangladesh4rabet4rabet game4r bet4rabet casino4rabet4r bet4rabet bd4rabet slots4a bet4era bet4x bet4rabet indiaparimatchmosbet casinomosbet kzmostbetmostbet kzmostbet aviatormosbet aviatormosbetmostbet aviatormostbetmosbetmostbetmosbetmosbet indiamostbetmosbetmostbet india1win cassino1 win casino1 win
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

মেহেরাবুল সৌদিপ।। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৫ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এবং ১৬২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০ অক্টোবর, ২০২০। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ২০ অক্টোবরকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারীতে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন, ভার্চ্যুয়াল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একমাত্র ছাত্রী হলের উদ্বোধন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল নামে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৮৭২ সালে নাম বদলে বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী তার বাবার নামে জগন্নাথ স্কুল নামকরণ করেন। ১৮৮৪ সালে এটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজে ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজের রূপ পায়। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা শুরু হলে তৎকালিন জগন্নাথ কলেজের স্নাতক কার্যক্রম সাথে আই.এ, আই.এসসি, বি.এ (পাস) শ্রেণী ছাড়াও ইংরেজি, দর্শন ও সংস্কৃতি অনার্স এবং ইংরেজিতে মাস্টার্স চালু বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অবনমিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে আবার কলেজেটিতে স্নাতক পাঠ্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে এটিকে সরকারিকরণ করা হয়। কিন্তু পরের বছরেই আবার এটি বেসরকারি মর্যাদা লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পূর্ববর্তী-পরবর্তী সময়ে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ পাশের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকট সত্ত্বেও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মপ্রকাশ জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা, অনুভূতি ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।
ভালোবাসার আরেক নাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। একজন মানুষের জন্ম তারিখ বা জন্মদিবস যেমন তাকে অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আলাদা করে তোলে, তেমনি একজন ছাত্রকে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবস ততটাই আলাদা করে। এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, আড্ডা সবকিছুর কেন্দ্রস্থল। সবাইকে অকৃত্রিম ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখেছে এ ক্যাম্পাস। মানুষ হতে পেরেছি কি না জানি না, তবে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার যে শিক্ষা পেয়েছি, তার দাবিদার নিঃসন্দেহে এ জবি। শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম ও স্বীয় স্বকীয় গুণাবলীতে দেশে-বিদেশে সর্বত্রই অনন্য হয়ে উঠুক আমাদের প্রাণের স্পন্দন স্বরূপ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম বর্ষে প্রত্যাশা থাকবে বিশৃঙ্খল মুক্ত, ছাত্রবান্ধব ও বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ আগামীর ক্যাম্পাস।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ
দ্বিতীয় বর্ষ, মার্কেটিং বিভাগ
হাঁটি, হাঁটি পা করে ক্যাম্পাসে প্রায় চারটা বছর কাটিয়ে দিলাম। চিরচেনা সেই ছোট ক্যাম্পাটিও ১৫ বছর অতিবাহিত করলো। এই ১৫ বছরে  অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত থেকেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল প্রিয় ক্যাম্পাস। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দেশের নানাজায়গায় নানা কর্মকান্ডে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে নিজের স্হান সুদৃঢ়  করেছে। ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। প্রতিবছর নানা কর্মকান্ড ও আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উৎযাপিত হতো। এবার করোনার কারণে হয়তো ততটা উৎসবমুখর ভাবে উৎযাপিত করা হবেনা। তবুও সাদামাটাভাবে দিবসটি উৎযাপিত হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসেই (২০ অক্টোবর) উদ্বোধন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলটি। এটিই এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের পাওনা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে এবং সকল সমস্যা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি আরো সামনে অগ্রসর হবে  বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই প্রত্যাশা।
সাদিয়া সাবাহ্,
চতুর্থ বর্ষ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
বাংলাদেশের ইতিহাসের যতগুলো প্রাচীন প্রতিষ্ঠান আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে এটি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুরু হয় বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এসে পৌঁছেছে প্রতিষ্ঠানটি।  এ বছর ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কবি সুফিয়া কামালের কাছে যেমন বসন্ত হাসি ফোটাতে পারেনি ঠিক তেমনি এই বছর প্রাণপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন আমাদের মনে আনন্দ সৃষ্টি করতে পারলো না। শান্ত চত্বর, কাঁঠাল তলা, রফিক ভবনের নিচে, বিজ্ঞান অনুষদের মাঠ সবকিছু যেন আমাদের ছাড়া হাহাকার করছে। প্রিয় ক্যাম্পাসটিতে হবে না কোনো অনুষ্ঠান,  শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন পালন করতে পারবে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ভার্চুয়াললি পালিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। তবে খুব মিস করছি তোমায় জবি।
মোঃ সুলাইমান
প্রথম বর্ষ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ
২০০৫ সালের ২০ ই অক্টোবর থেকে, দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জবি তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে এবং দিন দিন তার সাফল্যের হার বেড়েই চলছে। ২০ শে অক্টোবর নিয়ে আমাদের অনেক প্ল্যান, প্রোগ্রাম ছিল যা বৈশ্বিক মহামারী করোনার জন্য বাতিল করা হলো। তবে আমাদের জন্য সুখবর হলো এই যে, ২০ শে অক্টোবর ই আমাদের জবির প্রথম হল হিসাবে (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল) এর শুভ উদ্ভোবন হবে। আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি যে, কেরাণীগঞ্জে আমাদের নতুন ক্যাম্পাস স্হাপিত হবে। ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ, এখন শুধু দেশসেরা জবির নতুন ক্যাম্পাসের নতুন দিগন্তের উন্মোচন এর অপেক্ষায়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রিয় জবিকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা, সুষ্ঠু রাজনীতিতে শুধু দেশসেরা নয় বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখতে চাই। বহু আকাঙ্ক্ষিত, বহু প্রতিক্ষিত, বহু দিনের লালিত স্বপ্ন, একজন জবিয়ান হিসেবে, প্রিয় জবি তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত  রাখুক এবং নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এটাই আমার প্রত্যাশা।
নৌশিন জাহান অপি
প্রথম বর্ষ, লোক প্রশাসন বিভাগ
প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ বছরে পদার্পণ। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের আরেকটি অধ্যায়ের সূচনায় অতীতের সকল অপ্রাপ্তি, অপূর্নতা আর বাধা কাটিয়ে সাফল্যের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাক ভালোবাসার ‘জবি’। করোনার কারণে বিগত বছর গুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্ন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হলেও আমাদের সবার জন্য আনন্দের বিষয় হচ্ছে ছাত্রীহলের উদ্বোধন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে হল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। আশা করি আমাদের সব স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়ন হবে। বর্তমানে আমরা সবাই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করছি। তবে প্রত্যাশা একটাই মহামারি কাটিয়ে খুব শীঘ্রই ফিরবো আমাদের চিরচেনা ক্যাম্পাসে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অতীতের মতো ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা রইলো।
তামান্না ইসলাম বৃষ্টি
তৃতীয় বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ
অগ্রজদের কাছ থেকে নানা আনন্দঘন যেসব দিনগুলোর কথা শুনেছি তাঁর মধ্যে অন্যতম ছিলো “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস”। প্রতিবছর ২০ অক্টোবর দিনটি পালন করা নানা উৎসবের আমেজে, নিত্য-নতুন নান্দনিকতায় বা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সঙ্গী করে। প্রকৃতির বৈরীতার দরূণ এবার সেসব কিছুই হবে না পাশাপাশি আমাদের কেও থাকতে হবে মলিন মুখে। অগ্রজদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেমোরি হিসাবে শেয়ার করা পোস্ট দেখে আফসোস করা ছাড়া আমাদের আর করার মতো কিছু থাকবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সারাদিন অনুষ্ঠান বা নাচা-নাচির পরে হয়তো স্বভাবতই লিখতে বসতাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০ নিয়ে। জুড়ে দিতাম বন্ধুত্বের ভালোবাসায় ঘেরা রঙিন সব ছবি। কল্পনাও করি নি এমন হবে দিনটা। ২০০৫ সালের পর সর্বপ্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হবে এমন নিরানন্দের আমেজে। বিগত ১৫ বছরের সময়টা ছিলো না জবির জন্য মোটেই নিরানন্দের। অল্প সময়ের ব্যবধানেই জবি পৌঁছে গিয়েছে সুযোগ্য স্থানে। প্রতিযোগীতা মূলক সকল ক্ষেত্রেই চিনিয়েছে নিজেকে। মাত্র একযুগেই পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে। তবে, রয়েছে অবকাঠামোগত ও আবাসিক সংকট। যা প্রতিনিয়ত পাঁচ ধাপ আগালে দু’ধাপ পিছিয়ে দিচ্ছে জবিকে। নবনির্মিত ছাত্রীহল সে সংকট অনেকাংশে দূর করবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তবে রয়ে যাবে ছেলেদের আবাসন সমস্যা। প্রত্যাশা থাকবে সকল বাঁধা কাটিয়ে নতুন ক্যাম্পাসে নতুনভাবে প্রাণের জবি এগিয়ে যাবে অনেকদূরে। পরিণত হবে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুযোগ্য প্রতিনিধি হিসাবে। শুভকামনা নিরন্তর সকল জবিয়ানের তরে।
শুভ জন্মদিন প্রাণের স্পন্দন।
অনন্য প্রতীক রাউত
প্রথম বর্ষ, আইন বিভাগ
একজন মানুষের জন্মতারিখ বা জন্মদিবস যেমন তাকে অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আলাদা করে তোলে তেমনি একজন ছাত্রকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা দিবস ততটাই আলাদা করে। ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। হাটিহাটি পা পা করে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬ তম বছরে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরের মত উদযাপন দিবসের আয়োজন আড়ম্বরপূর্ণ হচ্ছে না। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওইদিন জবির একমাত্র ছাত্রী হল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এইবছর ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও আমরা শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পরিস্থিতিতে নেই। আশাবাদী, পরের বছরব অনেক সুন্দর করে বন্ধুবান্ধব নিয়ে উদযাপন করা হবে। মন থেকে শুভ কামনা রইলো জবির জন্য। দিন দিন আরো অনেক উন্নয়ন হবে। আমাদের প্রানের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
সাদিয়া রহমান মুমু
দ্বিতীয় বর্ষ, ফিন্যান্স বিভাগ
একটি বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গন হিসেবে আবিষ্কার করতে চাই স্বায়ত্তশাসিত দেশসেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ঠিকানা নিশ্চিত করা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। এখন আমি সেই স্বপ্নের একজন গর্বিত সদস্য। ভাবতেই একরাশ ভালোলাগা মনটাকে প্রফুল্ল করে দেয়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আমার ভাবনা-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শতভাগ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হোক। রাজনৈতিক কিংবা দলীয় মতাদর্শ যেন কোনভাবেই আমাদের সংকুচিত করে না দেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তচিন্তার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। এখানে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে মনোজগতের উৎকর্ষ সাধিত হয়। সেই সঙ্গে বন্ধ হোক নিয়োগ বাণিজ্য। প্রসাশনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে- সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে জাতীয় স্বার্থে সংকীর্ণতা পরিহার করলে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগাবে। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গন হিসেবে আবিষ্কার করতে চাই। গবেষণা-উদ্ভাবন এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় জবি যেন তার স্বতন্ত্র অবদান রাখতে পারে। জবির উদর থেকেই জন্ম নিক আগামীর শ্রেষ্ঠ সন্তান- সেই প্রার্থনা। প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে খুব ভালো পর্যায়ে দেখতে চাই। শিক্ষা, গবেষণাসহ সব দিক থেকেই সমৃদ্ধ হবে জবি। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলবে সব কিছুকে পার করে এটাই কামনা।
মুন্নি আক্তার প্রিয়া
প্রথম বর্ষ, লোক প্রশাসন বিভাগ
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পূর্ণ করে ১৬ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা প্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি। এই দীর্ঘ সময়ে ভালোবাসার এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে তৈরি হয়েছে ইতিহাসখ্যাত অনেক জ্ঞান পিপাসু পন্ডিত, শিল্পী, আইনজীবী, ইতিহাসবিদ। তবে প্রতিষ্ঠার পনেরো বছরেও আমরা ছাত্ররা এখনো আবাসিকতা পাইনি। জবি দিবসে প্রত্যাশা থাকবে দ্রুত আবাসিক সমস্যা নিরসনের। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নানা ধরনের অরাজকতা ও ছাত্র সমস্যা সমাধানে চাই জকসু নির্বাচন। এছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পাল্লা দিতে সব ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি দূর করে চাই বেশি বেশি গবেষণা ও সমুন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা। জবির নতুন বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হোক আত্মিক সম্পর্ক। প্রিয় ক্যাম্পাসের নাম আরো ছড়িয়ে পড়ুক পুরো পৃথিবীজুড়ে। শুভকামনা জবি।
মোঃ মাহবুবুর রহমান
দ্বিতীয় বর্ষ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথের ১৫ তম জন্মদিন। কথাটা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে রীতিমতো। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর কাছে ইদের মতো। গতবছর যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পালন করার সুযোগ পেয়েছিলাম তখনকার অনুভূতি বলে বুঝানো যাবেনা। অন্যরকম সাজে সেজেছিলো আমার প্রিয় জবি। প্রতিবছর ২০ অক্টোবর আলাদা রূপে সাজে আমার ৭.৫ একরের প্রিয় বিদ্যাপীঠ। তবে মহামারী করোনার প্রভাবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করার সুযোগ নেই। খানিকটা খারাপ লাগে কারণ এইদিনটি ঘিরে অনেক প্রোগ্রাম রাখা হয়! তবে আবার পৃথিবী সুস্থ হলে জন্মদিনে আবার নতুন করে সেজে উঠবে জবি। স্বপ্নসারথীদের বিচরনে ভরে উঠবে। ততদিন ভালো থাকুক আমার ৭.৫ একরের জবি।
মহিমা সরকার মিম
দ্বিতীয় বর্ষ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট

Please Share This Post in Your Social Media

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত: ২০১৮-২০২৩ © আমাদেরবাংলাদেশ.ডটকম