প্রতিবেদক,জবি।। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) নতুন ক্যাম্পাসে এক হল থেকে আরেক হলে যাওয়ার জন্য ট্রাম চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা দেখে বলেছেন, ‘এতো সুন্দর নকশা এর আগে আমি কখনও দেখিনি।’ এখানে প্রচুর গাছপালা থাকবে। পুরো প্রাকৃতিক পরিবেশ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হল থেকে আরেক হলে যাওয়ার জন্য ট্রাম চলাচল করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করে আবার পুনরায় ব্যবহার করা হবে, চারপাশে লেক থাকবে। নদীর পাড়ে ঘাট ও জেটি থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন রহমান প্রমুখ। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান নতুন ক্যাম্পাসের জন্য কেরানীগঞ্জবাসী কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়েছেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে। কিন্তু এই কথাটির সঙ্গে আমি একমত নই।কেরানীগঞ্জবাসী অনেক সৌভাগ্যবান। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর আন্দোলন করেও পাওয়া যায় না। সেখানে কেরানীগঞ্জবাসী না চাইতেই একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে।
উল্লেখ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ১৮৮ একর। যার মূল্য ৮৯৯ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩২ টাকা। অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে প্রথম কিস্তিতে এদিন ৪০ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মোট ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৫ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।