নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।। নীলফামারীর জলঢাকা পৌর এলাকায় চার্জার ভ্যানও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ১ জন আহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে পেট্রোলপাম্প এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার মহিশখোচা গ্রামের যুবক মাইদুল ইসলাম(২৮)।
তিনি প্রাণ কোম্পানীর এসআর পদে চাকরিতে কর্মরত ছিলেন।আহত মোটরসাইকেল চালক মাসুদ রানা (৪০)জেনারেল ফার্মাসিউটি ক্যালের রিপ্রেজেন্টিভ হিসেবে ডোমার উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।তার বাড়ী নওগা জেলায়।এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জলঢাকা থেকে প্রাণ গ্রপের পন্য নিয়ে একটি চার্জার ভ্যান রংপুরের দিকে যাওয়ার পথে পেট্রোলপাম্প এলাকায় অপরদিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ কোম্পানীর এসআর মাইদুল ইসলাম নিহত এবং মোটরসাইকেল চালক মাসুদ রানা গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে জলঢাকা থানা পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।এদিকে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের অফিস ও গাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মমতাজুল ইসলাম। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও আহত ব্যক্তিকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। ফায়ার সার্ভিসের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ফোন পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ডিমলার স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত
নীলফামারী প্রতিনিধি।।ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নমুনা সংগ্রহকারী স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির প্যাথলজি বিভাগটি লকডাউন করা হয়েছে ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানে অন্যান্য সেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল)রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র হতে নীলফামারী জেলায় দুইজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।তারা হলেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব সহকারী(প্যাথলজিষ্ট)করোনা নমুনা সংগ্রহকারী(৪২) ও ঢাকা ফেরত শ্রমিক নীলফামারী জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা(২০)।
আক্রান্ত ওই দুইজনকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।এ নিয়ে জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা ও রংপুরের এক সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭জন।জেলায় গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে ৫২জনসহ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এক হাজার ১৪০জন।
উল্লেখ্যঃ-নীলফামারী জেলায় এ পর্যন্ত ১৭জন কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড হতে ৬ জন সুস্থ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম