জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে শক্তিশালী করে মার্কিন-খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন এবং ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পথ তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
প্রস্তাবটির পক্ষে ১৩টি ভোট পড়ে। শুধু রাশিয়া এবং চীন ভোটদানে বিরত ছিল। তবে কোনও ভেটো দেয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘সারা বিশ্বে আরও শান্তি’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় শান্তি বোর্ডের অনুমোদন জাতিসংঘের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম অনুমোদন হবে এবং এটি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ ভোটের পর বলেন, ‘আজকের প্রস্তাবটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে, যা গাজাকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম করবে এবং এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে যা ইসরাইলকে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ করে দেবে।’
কিন্তু হামাস, যাকে প্রস্তাবে গাজায় যেকোনো শাসনকার্যের ভূমিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তারা বলেছে যে, এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের ‘রাজনৈতিক ও মানবিক দাবি এবং অধিকার’ পূরণ করে না।
এই প্রস্তাবের ওপর উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা ও সমঝোতার ফলে একাধিকবার সংশোধিত হয়েছে এবং এই পরিকল্পনাটি ‘সমর্থন’ পেয়েছে। যার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১০ অক্টোবর থেকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।