আমাদের বাংলাদেশ ডেস্ক: ত্রুটিপূর্ণ বিচার ব্যবস্থায় ওপর আস্থাহীনতা ও ব্যক্তি স্বার্থেই ঘটছে গণপিটুনির মতো ঘটনা। এমনটাই মনে করেন অপরাধ বিজ্ঞানী ও মনস্তত্ববিদরা। তাদের মতে, এসব ঘটনায় জড়িত হচ্ছে রাজনৈতিক বা অন্য কোন পক্ষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির পাশাপাশি এসব ঘটনার হোতাদের দৃষ্টান্তমুলক সাজা হলে গণপিটুনির মতো হত্যার ঘটনা কমবে বলে মনে করেন তারা।

আট বছর আগে ঢাকার সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছিল ছয় ছাত্রকে। কিন্তু সেই বিচারকাজ শেষ হয়নি। ওই ঘটনায় ৬০ আসামির সবাই জামিনে আছে। ২০১১ সালের ২৭ জুলাই নোয়াখালীতে নিরীহ কিশোর মিলনকে ডাকাত সাজিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। কিন্তু এখনো শাস্তি দেয়া যায়নি দোষীদের।

আর এ বছরের জুলাইয়ে ৬জনকে হত্যা করা হয়েছে ছেলেধরা সন্দেহে। এর মধ্যে বাড্ডায় স্কুলের সামনে তাসলিমা রেণু হত্যার ঘটনা নিয়ে এখনো সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু কেন এমন হত্যাকাণ্ড। এই অপরাধ বিজ্ঞানীর পর্যবেক্ষণ, গুজব ছড়িয়ে অপরাধে উদ্বুধ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই এসব গুজবের বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। আর মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যেই অপরাধ করুক তাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। দৃষ্টান্তমুলক বিচার হলেই এমন প্রবণতা কমবে। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য, গেল ৬ মাসে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনা ৩৬টি। এরমধ্যে সবচে বেশি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়।