গলাচিপা সংবাদদাতা।। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো জাতীয় ও স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন হয়েছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেটিকে বাদ দিয়ে দরজা জানালা বিহীন বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসায় রতনদি তালতলীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেèন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ মাদ্রাসাটি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বাড়ির সামনে অবস্থিত। তার আপন ভগ্নিপতি গোলাম মোস্তফা খান বর্তমানে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এ রকম একটি স্থানে ভোট গ্রহন করা হলে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার আশংকা করছেন এলাকার ভোটাররা।
এদিকে দরজা জানালা বিহীন ওই মাদ্রাসায় ব্যালট, ভোটের সরঞ্জাম ও আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর অস্ত্রের নিরাপত্তা জনিত প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক মেম্বার পদপ্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে জাতীয় ও স্থানীয় পরিষদের নির্বাচন এ পর্যন্ত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন করা হয়েছিল গ্রামর্দ্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ইউপি নির্বাচনে ওই স্কুলে ভবন নির্মানের কাজ চলমান ছিল। সে কারণে অন্যত্র ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সাইক্লেন শেল্টার কাম গ্রামর্দ্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট সুদৃশ্য দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও হস্তান্তর করা হয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। পাকা ভবন হওয়ায় এখানে নিরাপত্তাও যেমন রয়েছে তেমনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেখানে এ স্কুলটির অবস্থান। ফলে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবে। এ স্থানে পুনঃরায় ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে জানান আরেক মেম্বার পদপ্রার্থী শহিদ মৃধা। আগামী ১১ এপ্রিল এ ইউপিতে ভোট গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা মাহবুব হাসান শিবলী জানান, নিরাপদ স্থানে ভোটাররা অবাধে যাতে ভোট দিতে পারে এমন স্থানে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম