অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় বাম পা হারানো রাসেলকে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দিতে ২২ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ১০ এপ্রিল আদালতে রাসেলের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
আদালত বাকি টাকা দিতে এক মাস সময় দেয়। বুধবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
তবে এদিন রাসেলকে কোনো টাকা না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
পা হারানো রাসেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৩১ মার্চ এক আদেশে গ্রিন লাইন পরিবহনকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ আদালতে গেলেও তাদের আবেদন টেকেনি।
বুধবার রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গ্রিন লাইনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. অজিউল্লাহ।
আইনজীবী অজিউল্লাহ হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য এক মাস সময়ের আবেদন করেন।
আদালত বলেন, ‘ বাকি টাকা (৪৫ লাখ) এক মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপনারা খালি হাতে চলে এসেছেন। এটা কি হয়? আপনাদের ব্যবসা তো বন্ধ হয়নি। আমরা কি রিসিভার নিয়োগ দিয়ে দেব? আদেশ বাস্তবায়ন করে আসতেন। আদেশ যদি বাস্তবায়ন না করেন তবে কী করতে হয় তা আমরা জানি। এ ছাড়া চিকিৎসার খরচও দেবেন। আর আমরা আপনাদের সমস্যা দেখছি। সামনে উচ্চ আদালতের ভ্যাকেশন আছে। এর আগেই আদেশ বাস্তবায়ন করুন।’
গত বছরের ২৮ এপ্রিল রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ধোলাইপাড় এলাকায় গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়।
এ সময় প্রাইভেটকার চালক গাইবান্ধার পলাশবাড়ির বাসিন্দা রাসেল সরকারের (২৩) সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে রাসেলের পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেন চালক কবির মিয়া। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর রাসেলের বাম পা কেটে ফেলতে হয়। ডান পায়েও গুরুতর জখম হয় তার।
ওই দিনই চালক কবিরকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন রাসেলের বড় ভাই আরিফ। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
১৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান চালক কবির।