অর্থনীতি ডেস্ক:
দেশে প্রথমবারের মত উচ্চ উৎপাদনশীল হাইব্রিড প্রজাতির ভেনামী চিংড়ী চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রচলিত গলদা ও বাগদা চিংড়ীর পাশাপাশি ভেনামীর পরীক্ষামূলক চাষের জণ্য সম্প্রতি তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দিয়েছে মৎস্য মন্ত্রণালয়। রপ্তানীকারকরা বলছেন, ভেনামী চাষের ফলে দেশে চিংড়ীর উৎপাদন ৬-৭ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এতে কাঁচামালের সংকটে বন্ধ কারখানাগুলো পুনরায় চালু এবং চিংড়ী খাতে রপ্তানী আয় ছয় হাজার কোটি টাকা থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রত্যাশা তাদের।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও নড়াইলসহ উপকূলীয় এলাকা এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় তিন লাখ হেক্টর জমিতে চিংড়ী চাষ হয়।এসব ঘেরে উৎপাদিত ৭০ হাজার মেট্রিকটন চিংড়ী রপ্তানী করে প্রতি বছর দেশে আসছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। যার শতকরা আশি ভাগ বাগদা ও ২০ ভাগ গলদা চিংড়ী। তবে বর্তমানে দেশের চিংড়ী শিল্পকে বাঁচাতে রপ্তানীকারকদের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রথমবারের মত হাইব্রিড জাতের ভেনামী চিংড়ীর পরীক্ষামূলক তিনটি প্লটে চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এখনই তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকের মাঝে চাষের অনুমতি দিলে তা চিংড়ী সেক্টরের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তবে চিংড়ী রপ্তানীকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভেনামী চাষের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কাঁচামালের সংকট মোচনের পাশাপাশি রপ্তানী আয় ৫-৬ গুণ বাড়বে। বিশ্ববাজারে বছরে যে পরিমান চিংড়ী রপ্তানী হয় তার শতকরা ৭৭ ভাগই ভেনামী চিংড়ী। আর ১২ ভাগ বাগদা চিংড়ীর মাত্র দুই শতাংশ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী হয়। তবে ভেনামী চাষে উৎপাদন বাড়লে রপ্তানী ২০ শতাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু
হেড অফিস : প্রস্তাবিত (১ম তলা),৯৮, নয়াপল্টন,ঢাকা-১০০০
বানিজ্যিক এলাকা: বাইপাইল আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মফস্বল কার্যালয়: মেইন রোড (২য় তলা),কেশবপুর,যশোর।
নিউজ-মেইল: dailyamaderbd24@gmail.com
নিউজ রুমঃ রাজু:- ০১৭১১-১৩৯৪২০
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম