সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা।। ভোলা জেলার ৯ নং সেক্টরে ১৯৭১ সালে নয় মাস যুদ্ধে জীবন বাজি রাখে যুদ্ধ দেশ স্বাধীন করে মুক্তিযুদ্ধা বজলুল করির। দেশ স্বাধীনের পর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গণী উসমানির স্বাক্ষরিত ক্রমিক নং ৩৪৭১৫ মুক্তিযুদ্ধা সনদ থাকলেও দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলও জীবন সায়ন্যে এসেও সরকারিভাবে মুক্তিযুদ্ধার স্বীকুতি জুটেনি মুক্তিযুদ্ধা বজলুল করিমের।
যেন মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি নিয়ে মরতে পারেন জীবনের শেষ প্রান্তে আকুল আবেদ করছেন মুক্তিযুদ্ধা প্রেমী বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদার অব হিউমিনিটি দেশরতœ শেখ হাসিনার কাছে।
স্বীকৃতি না পাওয়া ৪ ছেলে সন্তানের জনক মুক্তিযুদ্ধা বজলুল করিমের জীবনের শেষ ইচ্ছা যুদ্ধ করেছি জীবন বাজী রেখে আর এখন মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি পাবার জন্য ৪৯ বছর অফিস আদালতের ধারে ধারে ঘুরছি। বেচেঁ থেকেই যেন মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি টুকু পাই। দেশ মাতৃকার টানে ১৯৭১ সালে ৭মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণ রেডিওতে শোনার পর ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলার কানাই নগর গ্রামের শেখ বেলায়েত হোসেনের ছেলে বীর সেনানী বজলুল করিম (৬৩) যুদ্ধে যাবার প্রস্তুতি নিতে চাইলে পরিবারের পক্ষ থেকে আসা নানান বাঁধা। তখন মনে ছিল অদম্য সাহস আর দেশ প্রেম। তখন তার আদর্শ , সাহস আর মনোবল সবটুকুই ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে বজলুল করিম ছিলেন ৮ম শ্রেণী পড়–য়া ১৫ বছরের টকবগে কিশোর। ১৯৭১ সারে ৭শে মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের ভাষনের পর থেকেই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর যেখন বিভিন্নভাবে বাংঙ্গালেিদর উপর অত্যাচার, জোলুম আর অবিচার শুরু করে। তখন যুদ্ধে যাবার প্রস্তুতি নিতে ভোলা সদর উপজেলা থেকে যাবার সময় বজলুল করিমের পরিবারে ছিল মা জুলেখা খাতুন,বাবা শেখ বেলায়েত হোসেন আর ৩ ভাই ও তিন বোন। তিনি পরিবারের ৩ ভাই ৩ বোনের মধ্যে ৩ নং (সেজু) ছেলে হওয়ায় খুবই দুষ্ঠ প্রকৃতির স্বভাবের ছিলেন তিনি । দুষ্ঠ স্বভাবের হওয়ায় তাই পরিবারের সকলেরই আদরের ছিল বজলুল করিম।
তখন দেশের জন্য কিছু করতেই হবে মনের এই ইচ্ছা আর জেধের কাছে পরিবারের কোন বাঁধায় যখন মানতে নারাজ বজলুল করিম। এর পর তিনি প্রথমেই ৯ নং সেক্টরে যান। এবং সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিলের অধিনে ১৯৭১ সালের ১৫ র্মাচ ও ৩১ এপ্রিল ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ ও ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে প্রশিক্ষণ শেষে গ্রæপ কমান্ডার (অবঃ) কাজী জয়নাল অবেদীর অধীনে ভোলা জেলার ভোল ঘুইংগারহাট, বাংলাবাজার, দেউলিয়া ইউনিয়নে সসস্ত্র যুদ্ধে যুদ্ধ করেন। পরে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৯ সালে যশোর সোনালী ব্যাংকে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরির বদলির সুবাদে প্রথমে বদলি হন যশোর থেকে ময়মনসিংহে এবং পরে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা ও ঢাকা থেকে সোনালি ব্যাংকে বদলি হয়ে চলে অসেন সুনামগঞ্জে। সেই থেকেই এখনো পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পৌর এলাকার জামাই পাড়ার মহনা ১২ নং বাসায়। এবং ২০১৭ সালের ৯ জুলাই রিটায়ার্ডে যান।
স্বীকৃতি না পাওয়া মুক্তিযুদ্ধা বজলুল করিম বলেন, আমার ভগ্নিপতি মুক্তিযুদ্ধা সফি আহাম্মদ (ই পি আর) যুদ্ধের সময় আমাদের বাড়ীতে পালিয়ে এসে আমাকে নিয়ে মুক্তি বাহিনীতে চলে যায়। বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের আহব্বান আর বগ্নিপতির করণে আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে গ্রুপ কমান্ডার (অবঃ) কাজী জয়নাল অবেদীর অধীনে ভোলা জেলার ভোল ঘুইংগারহাট, বাংলাবাজার, বোরহানউদ্দিন দেউলিয়া ইউনিয়নে সসস্ত্র যুদ্ধে অংশ গ্রহন করি। পরে দেশ স্বাধীনের পর চাকরির সুবাদে সিলেটের সুনামগঞ্জে চলে আসি। নেই কারনে আমার জেজেট হয় নাই।
কিন্তু বিগত মুক্তিযুদ্ধা যাচাই বাচাইয়ের সময় জেনারেল উসমাণীর স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধার সনদসহ বিভিন্ন কাগজ পত্র নিয়ে ভোলা সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডারের কছে গেলে উনি মুক্তিযুদ্ধা তালিকায় আমার নাম দেওয়ার জন্য এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে আমি অপারগতা সিকার করলে সব কাগজ পত্র থাকা সর্থেও আমার নাম যাচাই বাচাই তালিকা দেয়নি। আমাকে মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে মরার আগে আমার শেষ ইচ্ছে টুকু পুরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন।
আ/রিফাত/কামাল