নিজস্ব প্রতিবেদক।। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে "ট্রাক"প্রতীক নিয়ে ১৫২ ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল নির্বাচনী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তে অভিযোগ দিয়েছেন জনপ্রিয় এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। অভিযোগে তিনি বলেন তাকে থানায় ডেকে নিয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন আমার কোন সমর্থকদের নির্বাচন না করার জন্য হুমকি দিয়ে বলেন,যদি কেউ ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন করে তাহলে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির করা হবে বলেও ভয়ভীতি দেখান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান বলেন-গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ২নং বৈলর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শাহান শাহ ও ১নং ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ সোহেল আহাম্মদ-কে থানায় ডেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর পক্ষে নির্বাচন করার নির্দেশ প্রদান করেন। তার যদি ওসির কথা না শোনে তাহলে তাদের নামে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
এমতাবস্থায়-আমার সমর্থকরা চরম আতঙ্কে রয়েছে তিনি আরও বলেন ওসি কামাল হোসেনের নির্দেশে ধানীখোলা ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই আমিনুল ইসলাম ধানীখোলা ইউনিয়নের ভোটারদেরকে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিলে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকানোর হুমকি প্রদান করে আসতেছে।
ওসি কামাল হোসেন নির্দেশে এসআই আমিনুল ইসলাম প্রকাশ্যে এবং বেপরোয়াভাবে নির্বাচনের সমান্তরাল মাঠ বিনষ্ঠ করে,নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে। যার কারণে আমি ও আমার সমর্থনকারীগণ নির্ভয়ে এবং নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালতে পারতেছিনা। ত্রিশালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমান্তরাল মাঠ নিশ্চিতকল্পে অবিলম্বে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলাম-কে ত্রিশাল হইতে প্রত্যাহার পূর্বক তাহাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানান তিনি।
এবিডি.কম/রাজু
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম