নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সব ধরণের নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
আজ ০৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষকেরা প্রথম দিনের মতো এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯ মাস যাবত শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত রয়েছে। এর ফলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত ৬০ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরি স্থায়ীকরণ বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষকের পরবর্তী পদে পদোন্নতির সময়ও প্রায় ১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাদের পরে স্থায়ী পদে নিযুক্ত শিক্ষকগণও পদোন্নতি পেয়ে গেছেন। ফলে শিক্ষকদের মাঝে একধরণের বৈষম্য দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে ২টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে শিক্ষার মান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা অবহেলিত হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ০১ অক্টোবর থেকে শিক্ষক সমিতি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষকগণ সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন।
তারা আরও বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সাথে আলোচনা করে আমাদের বারবার আশ্বাস দিলেও আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ফলাফল পাইনি। গতকাল ০৮ ডিসেম্বর কয়েক দফায় শিক্ষকদের সাথে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ টার্মের শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের পরীক্ষা কার্যক্রমকে চলমান আন্দোলনের আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে ০৯ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। সভায় বক্তারা অতি সত্ত্বর এই নিষেধাজ্ঞা উত্তোলনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানান।
শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ আরও জানান, আমরা শিক্ষকগণ শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে আগ্রহী কিন্তু চাকুরিজীবন অনিশ্চিত রেখে এবং তীব্র শিক্ষক সংকটসহ সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অতিদ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা উত্তোলন করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।