নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাবা মা আদর করে নাম রেখেছিলেন প্রবোধকুমার। যার প্রতিশব্দ খুঁজলে পাওয়া যায় দু:খ,শোক,ক্লান্তি,আর ঝরা।আসলেই মানুষটি নামের প্রকৃত পরিচয় বহন করে গেছেন মৃত্যুর শেষ দিন অব্দি। ভীষন কষ্টে কেটেছে বাঙলা সাহিত্যের বরপুত্রের সমগ্র জীবন।১৯ মে ১৯০৮ সালে বিহারে জন্ম (বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে)।
বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র বলা এই কবিকে।
সাহিত্য জীবনে তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও মার্কসীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনায় ফুটে উঠেছে। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন ৪২টি উপন্যাস ও দুই শতাধিক ছোটগল্প। তার রচিত পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি উপন্যাস ও অতসী মামী, প্রাগৈতিহাসিক, ছোট বকুলপুরের যাত্রী ইত্যাদি গল্পসংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনা বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
পদ্মা নদীর মাঝি খ্যাত এ কবি মৃত্যুবরন করেন ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম