নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের কাজের উদ্যম বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। উপদেষ্টা আজ সকালে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন এবং কারাগারের জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের জনবল স্বল্পতা নেই। জুলাই বিপ্লবের পর নানা কারণে তাদের কাজের উদ্যমে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো।সেজন্য পুলিশের কাজের গতি ও উদ্যম বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
কারাগারের জরুরি সেবা (হটলাইন) নম্বর “০৯৬১২০২১৬৯০” চালু হওয়া প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এখন থেকে এই জরুরি হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে বন্দির অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখ জানা যাবে। বন্দির স্বজনরা এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের এই জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে কারাগার থেকে পালানো বন্দিদের মধ্যে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে এখনও ধরা যায়নি। আর বাকি পলাতকদের বন্দি করে কারাগারে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে যারা এসব করছে তারা ধরাও পড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি যেভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।
উপদেষ্টা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে অবস্থিত কারা হাসপাতাল, লাইব্রেরি, ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দিদের ভবন-সহ কয়েদি ও হাজতিদের ভবন, কারা মনন চর্চা কেন্দ্র, শরীরচর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কারা মক্তব, কারু পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র, কুক হাউস, ফাঁসির মঞ্চ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বই বিতরণ কেন্দ্র, দর্শনার্থী সাক্ষাৎ ভবন, কারা ক্যান্টিন-সহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কারা অভ্যন্তরে ভেষজ বৃক্ষ হরিতকী গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোঃ মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ প্রকল্পের কাজ এ বছরের জুনে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে না বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য আমি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। আর প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুর্নীতির উৎস হচ্ছে প্রকল্পের মেয়াদ ও বাজেট বাড়ানো। তিনি আরো বলেন, যতদিন আমি দায়িত্বে আছি, এ প্রকল্পের বাজেট এক পয়সাও বাড়ানো হবে না। তবে বেশি প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হতে পারে।