আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দুইজনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করাল পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর ও গোয়ালচামট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার গোলাম আজাদ (৪৮), তিনি শহর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
অন্যজন শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মুচিবাড়ি সড়ক এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৫২)। ফরিদপুর কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্টেশন সড়ক এলাকা থেকে গোলাম আজাদকে এবং দুপুর তিনটার দিকে শহরের গোয়ালচামট এলাকার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুর রাজ্জাককে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেলে গোলাম আজাদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আব্দুর রাজ্জাককে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় এই দুইজনকে নিয়ে মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।
ফরিদপুর সদর কোর্টের সিএসআই সুকান্ত দত্ত বলেন, আজ সন্ধ্যায় ফরিদপুরের এক নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসেনের আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গোলাম আজাদ। জবানবন্দী গ্রহণ শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ এ পর্যন্ত মোট ১৭ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই হামলার ঘটনায় ১৮ মে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলাদায়ের করেন সুবল চন্দ্র সাহা। গত ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ মামলার আসামি হিসেবে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলও রয়েছেন।
আমাদেরবাংলাদেশ/রিফাত