নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে ‘অযোগ্য’, ‘অদক্ষ’ এবং ‘উদ্ভট’ বলায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ড্যারকের সঙ্গে হোয়াইট হাউজ আর কোনো সম্পর্ক রাখবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিবিসি জানায়, কিমের ইমেইল ফাঁস যুক্তরাজ্যের জন্য মঙ্গলজনক নয় মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। ব্রেক্সিট বিষয়ে টুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ভূমিকা এবং পদক্ষেপেরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। বলেছেন, টেরেসা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ‘ঝামেলা বাঁধিয়েছেন’।
ওদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া ইমেইলের তথ্য রাষ্ট্রদূতের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। তবে কিমের ওপর প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ আস্থার কথা জানান ১০ ডাউনিং স্ট্রিট মুখপাত্র।
মুখপাত্র বলেন, ইমেইল ফাঁস হওয়ার ঘটনা খুবই ‘দুর্ভাগ্যজনক’। কিন্তু ফাঁস হওয়া তথ্যের সামান্য কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতদের সবসময় যে দেশে তারা নিযুক্ত সে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থা সম্পর্কে সৎ ও সঠিক বিশ্লেষণ করে তথ্য জানাতে হয়। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে স্যার কিমের পাশে আছেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, রাষ্ট্রদূতের ফাঁস হওয়া ই-মেইল দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করে হান্ট বলেন, ব্রিটেন সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে রয়েছে। ইমেইল ফাঁস হওয়া ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটেন সরকার।
সম্প্রতি ট্রাম্প এবং মার্কিন প্রশাসন নিয়ে লন্ডনে পাঠানো গোপন কূটনৈতিক ই-মেইল ফাঁস করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। সেখানেই দেখা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে ‘অযোগ্য’, ‘অদক্ষ’ এবং ‘উদ্ভট’ উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ড্যারক।