আবা ডেস্ক:
আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ফেনীর সোনাগাজীর ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ ওই ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে এ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি। আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর ভাইয়ের মামলা করার কথা ছিল।গত শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। পরে সেখান থেকে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর চারজন বোরকা পরিহিত তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার দুদিন পরও কোনও কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ।এ বিষয়ে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ছাত্রীর ভাই নোমান মামলা করতে আজ সকাল ১০টার মধ্যে থানায় আসার কথা ছিল। কিন্তু থানায় না এসে মুঠোফোনে জানিয়ে দেয় তিনি আসতে পারবেন না।ওসি আরও বলেন, ‘নোমান জানিয়েছে এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন, তাহলে আমরা কেন বাদী হয়ে মামলা করবো।’নুরুল আফসার লিটন নামে সোনাগাজীর এক স্থায়ী বাসিন্দা জানান, অধ্যক্ষ বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। তার পক্ষে তো এখন কিছু করা সম্ভব নয়। তবে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির কমিটিতে ঢোকার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তারা পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছে। সে দুই গ্রুপের শীর্ষ স্থানীয়দের আইনের আওতায় আনলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হয়ে যাবে।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম