আমাদের বাংলাদেশ ডেস্ক: বগুড়া, গাইবান্ধা, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার গ্রাম পানির নিচে। অসহায় জীবনযাপন করছেন পানিবন্দী মানুষ। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উচুস্থান কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে। সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। অনেক এলাকায় ত্রাণ এখনো পৌঁছেনি।

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গেলো কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে পানি বেড়ে সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার শতাধিক গ্রাম এবং ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে।

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।

জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। রেল লাইন তলিয়ে যাওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ এবং জামালপুর-তারাকান্দি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ীর বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখনো ত্রাণ পায়নি ভুক্তভোগীরা। মাদারগঞ্জের চর নাদাগাড়ীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গেলো ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলা সদরের সাথে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলা এবং কুড়িগ্রামের সাথে চিলমারীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারীভাবে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৪শ ৫০টি তাবু বরাদ্দ থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

পাবনায় যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চর অঞ্চলে পানি ঢুকেছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় বন্যাকবলিত ৫টি উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের সাড়ে ৯শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার ভূয়াপুরের টেপিপাড়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাধ ভেঙ্গে নতুন করে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।