বহুল আলোচিত ময়মনসিংহে টলি ব্যাগ খণ্ডিত লাশের খুনিরা শনাক্ত,একই পরিবারের ৪ সদস্য গ্রেফতার
- প্রকাশের সয়ম :
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯
-
১২৬
বার দেখা হয়েছে

সোহেল রানা,ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:বহুল আলোচিত ময়মনসিংহ পাটগুদাম এলাকার ব্রিজ সংলগ্নে ফেলে রাখা টলি ব্যাগের সেই খণ্ডিত লাশের খুনিদের চিহ্নিত করেছে ডিবি পুলিশ।খুনিরা ছিল একই পরিবারের ৪ সদস্য। একটি চিরকুটে সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ৪ খুনি হত্যা কান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে কাছে নিজেদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো:শাহ আবিদ হোসেন।
গত২০অক্টোবর ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম এলাকার ব্রিজের পাশে একটি ট্রলি ব্যাগ কে বা কাহারা রেখে যাই।আমাদের দীর্ঘ সময় যাবৎ ট্রলি ব্যাগ ব্রিজের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন কর্মরত একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য।পরবর্তীতে ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিকটস্থ থানায় ফোন দিলে ঘটনাস্থলে আসেন র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।বোমা সন্দেহে ট্রলি ব্যাগটিকে ঘিরে রাখে পুলিশ সদস্যরা।ব্যাগটি কে ঘিরে অত্র এলাকার জনসাধারণ এর ভিতর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
পরিশেষে ২১অক্টোবর ঢাকা থেকে নিয়ে আসা বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় ব্যাগটিকে খোলা হলে,ব্যাগের ভেতর থেকে হাত-পা মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে কুড়িগ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ টিতে একটি চিরকুটের সন্ধান পেলে তদন্তের নতুন মোড় খুঁজে পাই ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশের চৌকস টিম।ওই চিরকুটের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অবশেষে ২৮অক্টোবর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত সন্দেহে দুই নারী ও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
তারা হলেন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হুগলি গ্রামের মো:ফারুক মিয়া(২৫),তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২২),ভাই হৃদয় মিয়া(২০), বোন সাবিনা আক্তার (১৮)।তবে তার স্ত্রী মৌসুমির বাড়ি কুড়িগ্রামের কৃষ্ণপুর মিয়াপাড়া এলাকায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়,নিয়ে তো ব্যক্তির নাম বকুল মিয়া (২৮)।বকুল মিয়া নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হুগলি গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের পুত্র। মূলত সাবিনা আক্তার কে প্রতিবেশী বকুল প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্ত্যক্ত করে আসছিল।জীবিত অবস্থায় বকুল মিয়া তিনটি মামলার আসামি ও তার কর্মকাণ্ড বেপরোয়া দেখে সাবিনা আক্তার প্রেম প্রস্তাবের রাজি না হলে দুজনের ভিতরে শক্রুতা সৃষ্টি হয়।
বকুল মিয়া পিছু না ছাড়লে ২ভাই ও ভাবির সাথে পরিকল্পনা করে প্রেমের ফাঁদে ফাসিয়ে জয়দেবপুর এলাকার বাঘের বাজার গ্রামে ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুনটি সম্পন্ন করে খুনিরা। ঘটনাটি গোপন করতে নিহত বকুলের দেহ থেকে হাত-পা-মাথা বিচ্ছিন্ন করে মৌসুমীর কুড়িগ্রাম এলাকায় ফেলে রেখে আসে।দেহ অবশেষ একটি ট্রলি ব্যাগের পাটগুদাম এলাকার ব্রিজের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শাক কামাল আকান্দ জানান হত্যাকাণ্ডটি ছিল সুপরিকল্পিত।প্রথম অবস্থায় কোন সূত্র না পেলেও পরে একটি চিরকুটে সূত্র ধরে গভীর তদন্তের ভিত্তিতে খুনিদের আটক করা সম্ভবপর হয়। আটকের পর খুনিদের তথ্যের ভিত্তিতে খুনে ব্যবহৃত একটি ছুরি,একটি কাপড়ের ব্যাগ,একটি মোবাইল ফোন এবং একটি ইটের অংশ উদ্ধার করা হয়।
Please Share This Post in Your Social Media