আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক: রাজধানীর মগবাজারে বিয়ের আসরে কনের বাবা তুলা মিয়াকে (৪৭) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক সজীব আহমেদ রকি। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে খুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রকি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিয়ের আসরে খুনের ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকেই আটক সজীবকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলায় খুনের অভিযোগ এনে সজীব আহমেদ রকিকে (২৩) আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার রকি আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে রকিকে আদালতে তোলার পর তিনি ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই)আব্দুর রউফ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শুক্রবার হাতিরঝিল থানা পুলিশ আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার মগবাজারের দিলু রোডে প্রিয়াংকা হাউজিংয়ের পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের বাবা তুলা মিয়া ও মা ফিরোজা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে সজীব আহমেদ রকি নামে ওই যুবক। এ ঘটনায় তুলা মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গুরুতর জখম নিয়ে কনের মা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর রকিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশি হেফাজতে দেন।
ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের এক কর্মকর্তা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আটক সজীব তুলা মিয়ার মেয়ে স্বপ্নাকে গত ২ বছর ধরেই বিরক্ত করে আসছিলো। এ বিষয়ে গত মার্চে রকির বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা (নং-০৮) দায়ের করেন। এ মামলায় রকি গ্রেপ্তার হয়ে একমাস জেলও খাটে।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার স্বপ্নার বিয়ে চলকালীন সময়ে বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে তার বাবা ও মাকে ছুরিকাঘাত করে রকি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ১টার দিকে ওই কমিউনিটি সেন্টারের দোতলায় কনেকে সাজানো হচ্ছিল। সে সময় রকি ভবনটিতে প্রবেশ করে। ভেতরে ঢুকেই সে তুলা মিয়াকে দেখতে পায়। তুলা মিয়া তখন সজীবকে এখানে আসার কারণ জানতে চান। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ের তুলা মিয়াকে সজীব তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তার চিৎকারে ফিরোজা এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে।