আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্কঃ আজ (০৮ আগস্ট) সকাল থেকে থেমে বৃষ্টি, বাস-ট্রেনের সূচি বিপর্যয়, অতিরিক্ত ভাড়া আর ফেরিঘাটে পারাপারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে ঈদযাত্রায় দুর্ভোগে পড়েছে ঘরমুখী মানুষ।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নাড়ীর টানে ঘরে ফিরতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। যানজট আর বৃষ্টির ভোগান্তি ঠেলে নির্ধারিত সময়ের আগে কাউন্টারে পৌঁছানো গেলেও বাসেরই দেখা নেই। যারা আগাম টিকেট নেননি, তাদেরকে আবার গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এতসব ভোগান্তি মেনেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষজন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। ফলে যারা আগাম টিকেট নিয়েছিলেন তাদেরকে বৃষ্টির মধ্যেই নির্ধারিত সময়ে কাউন্টারে হাজির হতে হয়েছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, পাবনা নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের বাসগুলো যথা সময়ে ঢাকা ছেড়ে গেলেও বেলা গড়ানোর সাথে সাথে পেছাতে থাকে সূচি।
ঢাকা সংলগ্ন বাইপাইল মহাসড়কে যানজটের কারণে দুপুরের পর বাসগুলো ছাড়তে দেরি হয় বলে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারকর্মীরা জানিয়েছেন।
এদিকে, আজ (০৮ আগস্ট) রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনেও দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে যাত্রীদের আগেভাগ, স্টেশনে এলেও কয়েকটি ট্রেন সময়মত ছাড়তে পারেনি। ২ থেকে আড়াই ঘন্টা দেরিতে ছেড়েছে ধূমকেতু, সুন্দরবন, একতা, নীলসাগর ও রংপুর এক্সপ্রেস।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার জানালেন, বন্যায় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গগামী কয়েকটি ট্রেনের। তবে দুপুর পর্যন্ত ১৯টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে বলেও জানান স্টেশন ম্যানেজার।
মেইল, আন্তঃনগর ও বিশেষ ট্রেনসহ বৃহস্পতিবার মোট ৫৫টি ট্রেনে ৬০ হাজার যাত্রী যাবার কথা তাদের গন্তব্যে। শেষ সময়ে ৩০ শতাংশ দাঁড়িয়ে যাবার টিকিট দেয়া হচ্ছে। যে কোন ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা রোধে স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে, দুপুর থেকে টানা বৃষ্টির কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে ঘরমুখো মানুষেরা। লঞ্চ ও ফেরিতে রয়েছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বৃষ্টিতে ভিজে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের গন্তব্যের পরিবহনে উঠতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের চিত্র। যাত্রীদের একটি বড় অংশকে ফেরিতে করে পার হতে দেখা গেছে। লঞ্চেও যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।
তবে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে পৌঁছাতে লঞ্চগুলোর সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি লাগছে। লঞ্চের চালকেরা জানিয়েছেন, মাঝ পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় সময় বেশি লাগছে পদ্মা পার হতে।
তবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়ির দীর্ঘ সারি নেই বলে জানিয়েছেন আমাদের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি। তবে এই ঘাটে দুপুর একটার দিকে, লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিলো।