আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালের শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের দেয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনার পর হঠাৎ পর পর ছয় উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। ৫০-১০২ – এই রানের মধ্যেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০২ রান।
দুই ওপেনার পারভেজ হাসান ইমন এবং তানজিদ হাসান ব্যাট করতে নেমে পুরোপুরি চাপমুক্তভাবে খেলেন। দেখে-শুনে খেলে বাংলাদেশ দলকে যত দূর এগিয়ে নেয়া যায়, সেটাই চিন্তা ছিল দুই ওপেনারের। ৮.২ ওভারে দুজনে তুলেও নেন অর্ধশত রান।
যেখানে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শুরুতে বেশ ধুঁকে ধুঁকে ব্যাট করছিল বাংলাদেশের বোলারদের সামনে, সেখানে টাইগার ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশকে এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। এমন অবস্থায় বোলিংয়ে আসেনন ভারতের আক্রমণের সেরা অস্ত্র রবি বিষ্ণুই। এই লেগ স্পিনার একাই তুলে নেন চার উইকেট।
প্রথমে এই স্পিনারের ওপরই চড়াও হন তানজিদ হাসান। ছক্কায় দলের রান নিয়ে গেলেন পঞ্চাশে। আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে। ভাঙল ৫০ রানের জুটি। ২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করেন তানজিদ।
এর পরে ব্যট হাতে আসেন গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না তিনি। ১২ বলে ৮ রান করা মাহমুদুলকেও সাজ ঘরে ফেরান রবি বিষ্ণুই। এর পরেই বিষ্ণুর গুগলি বুঝতেই পারেননি হৃদয়। পিছিয়ে খেলতে গিয়ে বলে-ব্যাটে করতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শূন্য রানে।
এর পরেই দলের বিপদ বাড়িয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেলেন শাহাদাত হোসেন। তিনিও শিকার হন বিষ্ণুর বেল। পা বাড়িয়ে খেলেছিলেন শাহাদাত। খেলার সময় পা একটু বেরিয়ে গিয়েছিল। গড়িয়ে আসা বল ধরে বেলস ফেলে দেন ধ্র“ব জুরেল। এর পর ১৮ বল খেলে ৭ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন শামীম হোসেন। তাকে ফেরান সুশান্ত মিশ্র।
এর আগে রোববার (৯ ফেব্র“য়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে। প্রথম থেকেই বাংলাদেশের যুবাদের সাঁড়াশি বোলিংয়ের সামনে শক্তিশালী ভারত দাঁড়াতেই পারে নি। শেষেও অভিষেক দাস-শরীফুল ইসলামদের বোলিংয়ের সামনে ধুঁকেছে তারা। মাঝখানে কেবল ওপেনার যশস্বী জসওয়াল ও তিলক ভার্মা যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বড় সংগ্রহ পায়নি ভারত। ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস।