সঞ্জয় কুমার কর্মকার যশোর।। মণিরামপুরের অজয় কুমার রায় একজন কলেজ শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। সমাজের অসঙ্গতি,দারিদ্র্য, অস্বচ্ছলতা ও জনদুর্ভোগ নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করে করছেন তিনি।
এতে করে প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তার কাজে সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন। অজয় কুমার রায় সুন্দলপুর-আগরহাটি হাসিনিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক, খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও যোগীপোল ও চাঁদপুর মাঝিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। অজয় কুমার রায় সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করছেন। তাদের সেবার জন্য করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। এছাড়াও সামাজিক ও নৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেও রয়েছে তার বিচরণ।
ছোট বেলা থেকেই অজয় রায় অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করার এবং সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই উপলব্ধি থেকে গত কয়েক বছর ধরে তিনি প্রতিনিয়ত মানবিক-সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে অনেক জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবীরা তার অনুপ্রেরণা হয়ে অসহায়দের পাশে এগিয়ে আসছেন।
তিনি ২০১৯ সালে ১৯ জুলাই চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মাত্র ৫ মাসের মাথায় ২০২০ সালে প্রথম উপজেলা শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি চাঁদপুর সরকারি বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ১২ টি ফ্যান ক্রয় করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পর্যায়ক্রমে স্কুল আঙ্গিনায় দৃষ্টিনন্দিত ফুলবাগান গড়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন,শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করে আসছেন। এমনকি সমাজের দানশীল ব্যক্তিবর্গের অর্থায়নে বিদ্যালয়ে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করে আলোচনায় আসেন। তিনি অভিভাবকদের জন্য নিজ অর্থায়নে তৈরি করেছেন অভিভাবক বিশ্রামাগার।
পরে তিনি এলাকাবাসীর অনুরোধে যোগীপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি হওয়ার পর থেকে একের পর মানবিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার তিনি বেতনের টাকা দিয়ে ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া করোনাকালীন অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী,শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও নগদ অর্থ বিতরণ করে মানুষের নজর কেড়েছেন।
তিনি পাবনার রিক্সা চালকের মেয়ে মেডিকেল চান্স পাওয়া জান্নাতুল মৌমিতা মুন্নি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিব মেধাবী ছাত্রী সোহানা প্রিয়াসহ আরো অনেক শিক্ষার্থীর প্রতিমাসে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন।
তিনি গত ইউপি নির্বাচনে খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে রাস্তাঘাট,সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছেন।
এমনকি এলাকায় মাদকমুক্ত,সরকারের বিভিন্ন প্রকার ভাতার কার্ড প্রদানে স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে তার সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত দু’বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা পারভিন ও শিপ্রা দাস জানান,সভাপতি এমন মানবিক কাজে শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রশংসা কুড়িয়ে যাচ্ছেন।
এ সকল বিষায় শিক্ষক অজয় কুমার রায় জানান, মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমাকে কাদায়। ছোটবেলা থেকে আমার মানুষের জন্য ভালো কাজ করার প্রবল ইচ্ছে ছিলো। এখন জীবনের বাকি সময় আমি অসহায়- অবহেলিত মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিতে চাই।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/রাজু