রিপন হোসেন সাজু,মনিরামপুর যশোর।।
মনিরামপুরে কফিল উদ্দিন নামে সাবেক সেনা সদস্য এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে খুলনার খালিশপুর শহরের একটি ভাড়া বাসায় বার্ধক্যজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাকে কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জানান, কফিল উদ্দিনের আদি বাড়ি রংপুর জেলায়। তার পিতার নাম মৃত গোলাম রসুল। তিনি মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের আব্দুল গফফারের মেয়েকে বিয়ে করেন। সেই সূত্রে জয়পুর এলাকার বাসিন্দা হয়ে যান মৃত কফিল উদ্দিন।
চাকরির সুবাদে কফিল উদ্দিন খুলনা শহরের খালিশপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হার্টেও সমস্যায় ভুগছিলেন। অবশেষে শনিবার রাত ১২ টার দিকে খালিশপুরের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে রোববার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে দুই দফা গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে জাতির এই বীর সন্তানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পান্ন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাউদ্দিন, সেনাবাহিনীর একটি টিম, থানার এসআই জহির রায়হানসহ কয়েকজন পুরিশ সদস্য ও আনসার-ভিডিপির দলনেতা সুমন হোসেন প্রমূখ।
পিয়নের হাতে চেয়ারম্যান লাঞ্চিতের ঘটনায়
এবার ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের উদ্যোগ !
রিপন হোসেন সাজু,মনিরামপুর যশোর।।
মনিরামপুরে এসিল্যান্ড অফিসের পিয়নের হাতে মশ্বিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেনকে লাঞ্চিতের ঘটনা তদন্ত করতে এক সদস্যের টিমের পর এবার নতুন করে তিন সদস্যের টিম গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহাসান উল্লাহ শরিফী সোমবার এ ব্যাপারে অফিস আদেশ দিবেন বলে পূর্বের কমিটির প্রধান উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার আলমগীর কবীর জানিয়েছেন। এ দিকে পিয়নের হাতে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্চিতের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানাযায়, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ নিয়ে তিনি পারখাজুরা বাজারে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে অভিযানে নামেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ করা হলেও এসিল্যান্ড অফিসের অফিস সহায়ক(পিয়ন) লুৎফর রহমানের জ্বালানী তেলের দোকান খোলা ছিল।
এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে লুৎফর রহমান ও তার লোকজন চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে লুৎফর রহমানের দাবি চেয়ারম্যান ও তার লাকজন তাকে ও তার পিতাকে মারপিট করে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার আলমগীর কবিরকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেন। রোববার এ কমিটির তদন্তের কথা ছিল।
কমিটির প্রধান আলমগীর কবির বিষয়টি স্পর্শকাতর উল্লেখ করে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অধিকতর তদন্ত করতে নতুন করে তিন সদস্যের টিম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। সোমবার অফিসিয়ালী ভাবে এ কমিটি গঠন করা হতে পারে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, সারকারি নির্দেশনায় সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে পিয়নের হাতে লাঞ্চিতের ঘটনায় তিনি দ্রত সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ দিকে পিয়নের হাতে চেয়ারম্যান লাঞ্চিতের ঘটনায় উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি জানান, এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ফোরামের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নতুন করে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।