সঞ্জয় কুমার কর্মকার ।। যশোরের মনিরামপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবলীগ নেতা উদয় শংকর বিশ্বাস খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহতের মা ছবি রানী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন,মনিরামপুর থানার মামলা নং-১৪, তারিখ, ১৬/১০/২০২৩। এ মামলায় চার জন-কে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এজাহার নামীয় চারজন হলেন,নিহতের চাচাতো ভাই পবিত্র বিশ্বাসপাঁচাকড়ি গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাস,উত্তম দাস ও সুবাস বিশ্বাস। রাতেই পুলিশ পরিতোষ বিশ্বাস ও উত্তম দাসকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উক্ত বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান।এছাড়া স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে,নিহত যুবলীগ নেতার আপন চাচাতো ভাই পবিত্র বিশ্বাস ক্ষমতাশীল দলের রাজনীতির সাথে জড়িত।পূর্বে তিনি স্থানীয় টেকারঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। পবিত্র বিশ্বাস দায়িত্বে থাকাকালীন প্রতিষ্ঠানে তিন কর্মচারী নিয়োগের উদ্যোগ নেন।
পরে দলীয় বিরোধের কারণে তিনি নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারেননি। এরপর পবিত্র-কে সরিয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে আসেন যুবলীগ নেতা উদয় শংকর বিশ্বাস। তিনি এসে তিন কর্মচারী নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়া পবিত্র বিশ্বাস মাছের ঘের ব্যবসার সাথে জড়িত। পাঁচাকড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র বিশ্বাসের দখলে থাকা ঘের উদয় সংকরের সহায়তা না পেয়ে হাতছাড়া হয়ে যায়। এবং রাজনৈতিক ভাবেও বিরোধ ছিলো উদয় ও পবিত্র বিশ্বাসের। এসব নিয়ে তাঁরা দুইজন চাচাতো ভাই হয়েও দুই মেরুতে অবস্থান করছিলেন। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে পবিত্র বিশ্বাস ভাড়াটে খুনি দিয়ে উদয় শংকরকে খুন করিয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।
এছাড়া উক্ত বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান এর কাছে জানতে চাইলে প্রতিদিনের কাগজ-কে তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা উদয় শংকর খুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে। মূল আসামী-কে গ্রেফতারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হত্যার শিকার যুবলীগ নেতা উদয় শংকর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের রঞ্জিত বিশ্বাসের ছেলে। তিনি নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন। এছাড়াও টেকারঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন এই যুবলীগ নেতা। গতকাল সোমবার সকালে টেকারঘাট বাজার থেকে বাজার করে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন উদয় শংকর বিশ্বাস। তিনি বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাঁকে পিছন থেকে গুলি করে। এতে তিনি মোটরসাইকেল থেকে নিচে পড়ে যান। পরে স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
উক্ত বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে প্রতিদিনের কাগজ-কে তিনি বলেন,তদন্তের স্বার্থে এক্ষণি সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে স্কুলের সভাপতি নির্বাচন,ঘের ব্যবসা ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে উদয় শংকর খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমাদেরবাংলাদেশ/ডটকম রাজু
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম