কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন স্ত্রী আয়শা ছিদ্দিকা শিল্পী। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্বামী মোঃ মামুন হাওলাদার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ।মহিপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আঃ সালাম আকন দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার কারনে আমার স্বামী মোঃ মামুন হাওলাদার গত ২৮/০৮/২০১৯ইং তারিখ এক জরুরী সভায় ৬ নং মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন।
(যাহার স্মারক নং-৩৩/১৯, বর্নিত স্মরেকর আলোকে জেলা প্রশাসক মহোদয়, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করেন)। সে ভারপ্রাপ্ত চেয়রাম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে ভিজিএফ/ভিজিডি ও অবরোধ চলাকালীন সময়ে জেলেদের মধ্যে বিশেষ বরাদ্ধ (চাল) কর্তৃপক্ষের যথাযথ নিয়মে প্রদান করে আসছে। গত ২৮/১০/২০১৯ইং তারিখ রোজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে “মা ইলিশ আহরন থেকে বিরত থাকা” জেলেদের মাঝে ২৪,০০০ কে.জি চাল ১২০০ জন লোকের মধ্যে ভিজিএফ বিশেষ চাল বিতরন করেন। চাল বিতরনের সময়ে এলাকার কিছু প্রভাবশালী স্বার্থনেশ্বী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য চাল মাপে কম দেওয়া হয় বলে দাবী উপস্থাপন করেন।
এক পর্যায় হৈচৈ হট্টগোল শুরু করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উক্ত হৈচৈ সামাল দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প অফিসার ও মহিপুর থানার ইনচার্জকে মোবাইল ফোনে খবর দেয়। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসন গিয়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয় এবং এলাকার পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্ত করে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরন শুরু করে। পরবর্তীতে কাউকে কোন কিছু বুঝতে ও জানতে না দিয়া কৌশল অবলম্বন করিয়া বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মহিপুর থানার এস.আই মোঃ বেল্লাল হোসেন, মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ হইতে চেয়ারম্যানকে থানায় নিয়ে যায়। অতঃপর আমরা খোঁজ নিয়া জানতে পারি তারা চেয়ারম্যানকে কোর্টে সোপর্দ করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও নিরপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমার নির্দোষ স্বামীর মুক্তির দাবী জানান।