আওরঙ্গজেব কামাল।। সংবাদপত্র একটি গণতান্ত্রিক দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজ করে বললে সংবাদপত্র রাষ্ট্রের বার্তাবাহক। নিরাপদ সাংবাদিকতা হচ্ছে কোনোদেশের গণতন্ত্রের মানদন্ড। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করা কিংবা গণমাধ্যমকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ ও সহযোগিতা করা রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য।
এছাড়া্ সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং একে অনেকে সমাজের দর্পণ আখ্যায়িত করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অপরাধীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন সাংবাদিকরা।তারপর মেধা-মনন খাটিয়ে দৃষ্টিনন্দন ও মনোরঞ্জন বিষয়টি মাথায় রেখে তথ্যনির্ভর পাঠকপ্রিয় সংবাদ সাংবাদিক তৈরি করেন। এমন ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েন সাংবাদিকতা পেশা তার দৃষ্টান্ত।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের এ যুগে সাংবাদিকতায় ঝুঁকছে প্রচুর মানুষ। পত্রপত্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকের সংখ্যাও বাড়ছে। আগে যেখানে কোনো এলাকায় একজন সাংবাদিক থাকলে তাকে নিয়ে রীতিমতো গর্ব করা হতো; আর এখন যেন মোড়ে মোড়ে সাংবাদিক। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে; মানহীন পত্রিকার অযোগ্য সাংবাদিকে ছেয়ে গেছে গোটা সমাজ।
পত্রিকার মানের দিকে যেমন খেয়াল নেই, সাংবাদিক বাছাইয়েও কোনো তাগাদা নেই।এই পরিস্থীতি সারা দেশ ব্যাপী। মূলধারার সাংবাদিকদের চেয়ে কিছু ভুঁইফোঁড় সাংবাদিকদের প্রসিদ্ধি এবং তাণ্ডব এখানে বেশি। আমার মনে হয় তারা সাংবাদিকতা করতে সংবাদমাধ্যমে আসেনি; বরং অবৈধ পন্থায় পয়সা উপার্জন ও সাধারণ মানুষের ওপর কর্তৃত্ব করতে এ পেশায় ঢুকেছে। এলাকার মাদক, চাঁদাবাজি, অনৈতিকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা খুব কমই মাঠে নামে। এরা সাধারন মানুষ কে বিপাকে ফেলে সংঘবদ্ধ ভাবে মোটরসাইকেলে চেপে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
তাদের টাকা দিলে অনেকটা নিশ্চিন্তে এ কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়। অবস্থাটা এমন,যেন তারাই প্রশাসন। আবার এরূপ কোনো ঘটনায় যদি লেনদেন কম হয়,তাহলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে পুলিশকে ফোন দিয়ে ফের এলাকাবাসীকে হয়রানি করে। গোটা দেশ ব্যাপী এ রকম চলছে যে কারনে প্রকৃত সাংবাদিকরা বে কায়দায় পড়েছে।
অপসাংবাদিকতায় অতিষ্ঠ ও ক্ষুব্ধ জন সাধারন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তারাও এদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছে না কেহ। সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে,ব্যক্তি পর্যায়ে বিরোধিতা করে তাদের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। দেশের পেশাদার সাংবাদিকরা এখন রয়েছে চরম বিপাকে। এইসব অপ সাংবাদিকতার দায়ভার প্রকৃত সাংবাদিকদের ভোগ করতে হচ্ছে।
এদের কারনে পেশাদার সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা ও মামলার শিকার হতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই ঘটনার সামনে পেছনে কথিত সাংবাদিক ও সমাজের দায়িত্বশীল মানুষদের হাত দেখা যায়। এখন ওয়েবসাইট বা ভিডিও কনটেন্টে ভিজিটর বাড়াতে অনেক ধরনের কৌশল ব্যবহার করে ওই ভিউ সাংবাদিকরা । তারা নাকি ফেসবুক সাংবাদিক। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
এবিডি.কম/রাজু
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম